ভারতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পেয়াজ নিয়ে বক্তব্য দেশের জন্য খুবই মানহানীকর
গতকাল ভারতে সফররত শেখ হাসিনা পেয়াজ নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছে।
মিডিয়ায় প্রচার-
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, আর তাতে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।....ভারত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে আগে জানালে, ঢাকা অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করে নিতো।”
ইংরেজিতে দেওয়া বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হঠাৎ হিন্দি ভাষায় বলতে শুরু করেন, “পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কার দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বান্ধ কারদো (পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। আমি জানি না, কেনো আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও)।”
মিডিয়ায় প্রচার-
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, আর তাতে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।....ভারত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে আগে জানালে, ঢাকা অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করে নিতো।”
ইংরেজিতে দেওয়া বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হঠাৎ হিন্দি ভাষায় বলতে শুরু করেন, “পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কার দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বান্ধ কারদো (পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। আমি জানি না, কেনো আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও)।”
আমার কাছে শেখ হাসিনার এ ধরনের বক্তব্যও খুব নিচু দরের ও দেশের জন্য মানহানীকর মনে হয়েছে।
শেখ হাসিনা যেন প্রমাণ করতেই গিয়েছেন, আমরা ভারতের কাছে মুখাপেক্ষী, ভারত ছাড়া আমরা বাচি না।
প্রথমত শেখ হাসিনার বক্তব্য -
“রাধুনিকে বলে দিয়েছি এখন থেকে রান্নায় পেয়াজ বন্ধ করে দাও।”
শেখ হাসিনা এ বক্তব্য প্রমাণ করে, আমরা পেয়াজের ব্যাপারে পুরোপুরি ভারতের মুখাপেক্ষী।
কিন্তু এটা কখনই সত্য নয়। বাংলাদেশেও সরকারী হিসেবে এ বছরে পেয়াজের উৎপাদন ছিলো ২৬ লক্ষ টন, কিন্তু চাহিদা ছিলো ২৪ লক্ষ টন। সে হিসেবে দেশী পেয়াজ অতিরিক্ত ছিলো ২ লক্ষ টন। (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ২৭শে আগস্ট, ২০১৯)
তাই ভারত পেয়াজ না দিয়ে রাধুনী রান্না পেয়াজ ব্যবহার করবে না, এটা অন্তত একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের অনুষ্ঠানে গিয়ে বলতে পারেন না।
শেখ হাসিনা যেন প্রমাণ করতেই গিয়েছেন, আমরা ভারতের কাছে মুখাপেক্ষী, ভারত ছাড়া আমরা বাচি না।
প্রথমত শেখ হাসিনার বক্তব্য -
“রাধুনিকে বলে দিয়েছি এখন থেকে রান্নায় পেয়াজ বন্ধ করে দাও।”
শেখ হাসিনা এ বক্তব্য প্রমাণ করে, আমরা পেয়াজের ব্যাপারে পুরোপুরি ভারতের মুখাপেক্ষী।
কিন্তু এটা কখনই সত্য নয়। বাংলাদেশেও সরকারী হিসেবে এ বছরে পেয়াজের উৎপাদন ছিলো ২৬ লক্ষ টন, কিন্তু চাহিদা ছিলো ২৪ লক্ষ টন। সে হিসেবে দেশী পেয়াজ অতিরিক্ত ছিলো ২ লক্ষ টন। (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ২৭শে আগস্ট, ২০১৯)
তাই ভারত পেয়াজ না দিয়ে রাধুনী রান্না পেয়াজ ব্যবহার করবে না, এটা অন্তত একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের অনুষ্ঠানে গিয়ে বলতে পারেন না।
দ্বিতীয়ত. শেখ হাসিনা বলেছে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আগে জানলে, অন্য দেশ থেকে আনা যেতো।
এটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ভারতে পেয়াজ নিয়ে যে সমস্যাটি হচ্ছে তা বানিজ্য মন্ত্রনালয় আগে থেকেই জানত এবং সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থাও নিয়েছিলো। এজন্য যে দিন ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়, তারপর দিন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিশর ও চীন থেকে ৩ লক্ষ কেজি পেয়াজ এবং টেকনাফ দিয়ে মিয়ানমার থেকে ১৪ লক্ষ কেজি পেয়াজ প্রবেশ করে। সরকার যদি নাই জানতো, তবে একদিনের মধ্যে ১৭ লক্ষ কেজি পেয়াজ আসলো কিভাবে ?
এটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ভারতে পেয়াজ নিয়ে যে সমস্যাটি হচ্ছে তা বানিজ্য মন্ত্রনালয় আগে থেকেই জানত এবং সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থাও নিয়েছিলো। এজন্য যে দিন ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়, তারপর দিন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিশর ও চীন থেকে ৩ লক্ষ কেজি পেয়াজ এবং টেকনাফ দিয়ে মিয়ানমার থেকে ১৪ লক্ষ কেজি পেয়াজ প্রবেশ করে। সরকার যদি নাই জানতো, তবে একদিনের মধ্যে ১৭ লক্ষ কেজি পেয়াজ আসলো কিভাবে ?
এখানে বিষয়টি বুঝতে হবে,
বাংলাদেশে পেয়াজে স্বয়ং সম্পূর্ণ।
বাংলাদেশের বাজারে দেশী পেয়াজ নাই, এ কথা কখন কেউ বলতে পারবে না।
টাকা দিলেই মিলছে দেশী পেয়াজ। তাহলে সংকট কোথায় ?
সংকট বা ঝামেলা কোনটাই নেই। ঝামেলাটা হলো কোয়ালিটি নিয়ে।
বাংলাদেশের পেয়াজের কোয়ালিটি খুবই উচ্চমানের। ভারতীয় ২ কেজি পেয়াজ বাংলাদেশের ১ কেজি পেয়াজের সমতূল্য।
তাই নিচু কোয়ালিটির ভারতীয় পেয়াজ থেকে উচু কোয়ালিটির দেশী পেয়াজের দামটা বেড়ে যায়, এবং এটাই বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম।
বাংলাদেশে পেয়াজে স্বয়ং সম্পূর্ণ।
বাংলাদেশের বাজারে দেশী পেয়াজ নাই, এ কথা কখন কেউ বলতে পারবে না।
টাকা দিলেই মিলছে দেশী পেয়াজ। তাহলে সংকট কোথায় ?
সংকট বা ঝামেলা কোনটাই নেই। ঝামেলাটা হলো কোয়ালিটি নিয়ে।
বাংলাদেশের পেয়াজের কোয়ালিটি খুবই উচ্চমানের। ভারতীয় ২ কেজি পেয়াজ বাংলাদেশের ১ কেজি পেয়াজের সমতূল্য।
তাই নিচু কোয়ালিটির ভারতীয় পেয়াজ থেকে উচু কোয়ালিটির দেশী পেয়াজের দামটা বেড়ে যায়, এবং এটাই বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম।
বাজারে সাধারনত দুই পেয়াজের দামের পার্থক্য ৫ -১০ টাকার মত হয়।
কেউ যদি ৫ টাকা কমের জন্য ভারতীয় পেয়াজ নিতে চায়, সে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ কেজিতে ৫ টাকা বাচাতে গিয়ে সে অর্ধেক কোয়ালিটির পেয়াজ নিয়ে আসে। যা আসলে লস।
আর দেশী ও ভারতীয় পেয়াজের দামের যে পার্থক্যটা সেটার দোষও বাংলাদেশ সরকারের।
সরকারের উচিত ছিলো বিদেশী পেয়াজকে শুল্ক দিয়ে দেশী পেয়াজের মার্কেটটা ধরে রাখা।
কিন্তু সে বিদেশী পেয়াজকে সব সময় শুল্কমুক্ত করে রেখেছে।
কারণ সে দেখাতে চায়, বাংলাদেশে পেয়াজের ঘাটতি আছে। এখানে সরকারের বা তার দলীয় কোন অদৃশ্য স্বার্থ ( সম্ভবত টাকা পাচার) কাজ করে, যার কারণে ঘাপলা লাগিয়ে পেয়াজ আমদানি চালাতে থাকে।
অথচ এখন যেমন পেয়াজের মার্কেটে মজুতদারির বিরুদ্ধে যেভাবে অভিজান চলতেছে, সে রকম যদি সব সময় চলতো, তবে দেশী পেয়াজ কখনই অতিরিক্ত মূল্য হতে পারতো না। অতি কমমূল্যেই খাওয়া যেতো উন্নতমানের দেশী পেয়াজ। কিন্তু সরকার অদৃশ্য উদ্দেশ্যে ( সম্ভবত টাকা পাচার) সেটা করে না।
কেউ যদি ৫ টাকা কমের জন্য ভারতীয় পেয়াজ নিতে চায়, সে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ কেজিতে ৫ টাকা বাচাতে গিয়ে সে অর্ধেক কোয়ালিটির পেয়াজ নিয়ে আসে। যা আসলে লস।
আর দেশী ও ভারতীয় পেয়াজের দামের যে পার্থক্যটা সেটার দোষও বাংলাদেশ সরকারের।
সরকারের উচিত ছিলো বিদেশী পেয়াজকে শুল্ক দিয়ে দেশী পেয়াজের মার্কেটটা ধরে রাখা।
কিন্তু সে বিদেশী পেয়াজকে সব সময় শুল্কমুক্ত করে রেখেছে।
কারণ সে দেখাতে চায়, বাংলাদেশে পেয়াজের ঘাটতি আছে। এখানে সরকারের বা তার দলীয় কোন অদৃশ্য স্বার্থ ( সম্ভবত টাকা পাচার) কাজ করে, যার কারণে ঘাপলা লাগিয়ে পেয়াজ আমদানি চালাতে থাকে।
অথচ এখন যেমন পেয়াজের মার্কেটে মজুতদারির বিরুদ্ধে যেভাবে অভিজান চলতেছে, সে রকম যদি সব সময় চলতো, তবে দেশী পেয়াজ কখনই অতিরিক্ত মূল্য হতে পারতো না। অতি কমমূল্যেই খাওয়া যেতো উন্নতমানের দেশী পেয়াজ। কিন্তু সরকার অদৃশ্য উদ্দেশ্যে ( সম্ভবত টাকা পাচার) সেটা করে না।
তবে মূল কথা হলো-
সরকারী কর্মকর্তাদের দাবী ছিলো সিন্ডিটেক, মজুতদারী বা গুজবের কারণে এক দিনে ৪০ টাকা পেয়াজের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেটার জন্য ভারতে গিয়ে বলে আসা- তারা পেয়াজ না দিলে রাধুনী রান্নায় পেয়াজ দিতে পারবে না, এবং তাদের বুঝার জন্য হিন্দি ভাষায় সে কথা উচ্চারণ করা কখনই দেশের জন্য ভালো নয়, বরং মানহানীকর। একজন দেশপ্রধান কিছুতেই অন্য দেশের সামনে নিজের দেশের মান সম্মান এভাবে ডুবাতে পারেন না।
সরকারী কর্মকর্তাদের দাবী ছিলো সিন্ডিটেক, মজুতদারী বা গুজবের কারণে এক দিনে ৪০ টাকা পেয়াজের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেটার জন্য ভারতে গিয়ে বলে আসা- তারা পেয়াজ না দিলে রাধুনী রান্নায় পেয়াজ দিতে পারবে না, এবং তাদের বুঝার জন্য হিন্দি ভাষায় সে কথা উচ্চারণ করা কখনই দেশের জন্য ভালো নয়, বরং মানহানীকর। একজন দেশপ্রধান কিছুতেই অন্য দেশের সামনে নিজের দেশের মান সম্মান এভাবে ডুবাতে পারেন না।