আমাদের বাড়িতে লিফট আছে, কিন্তু ফ্রিজ নাই।
বাড়িতে কর্তার ফ্রিজের প্রতি দারুণ অনিহা। তার এক কথা, “ফ্রিজ কিনে অপচয় করতে আমি রাজী নই। বাসায় আরো কত দরকারি জিনিস আছে, ফ্রিজের মত একটা ফালতু জিনিসের কি দরকার ? ফ্রিজের থেকে বাড়ির লিফট বেশি দরকারী। সিড়ি বেয়ে ৫ তলায় উঠতে কত কষ্ট। কিন্তু লিফট দিয়ে কয়েক সেকেন্ডে বিনা কষ্ঠে উঠা যায়।”
যেই কথা সেই কাজ। ২০ লক্ষ খরচ করে লিফট কেনা হলো, আর ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হলো জেনারেটর, যেন বিদ্যুৎ চলে গেলেও বিনা বাধায় লিফট চলতে পারে। তবে লিফটের পেছনে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করলেও ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করে ফ্রিজ কিনতে রাজী হলেন না বাড়ির কর্তা।
কিন্তু এতে সমস্যাও কিছু হচ্ছে। তিনি ছুটি পান শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিনে, মানে সপ্তাহে মাত্র ১ দিন। ঐ ১ দিন তিনি বাজার-সদাই করতে পারবেন, এর বেশি না। কিন্তু মাত্র ১ দিনের বাজার বাসায় আনার পর শুধু চাল-ডাল টিকলেও টিকে না মাছ-মাংশ আর সবজী। বড় জোর ২-৩ তিন জোড়া তালি লাগায় চলা যায়্। কিন্তু বাকি ৪ দিন কষ্ঠ করে থাকতে হয়। অনেক সময় হোটেল থেকে উচ্চমূল্যে খাবার কিনে খেতে হয়। এতে মাসিক খরচ ২-৩ গুন পর্যন্ত হয়। যতক্ষণ নগদ টাকা থাকে, ততক্ষণ বাইরে থেকে উচ্চমূল্যের খাবার কেনা যায়, কিন্তু নগদ টাকা না থাকলে অনেক সময় খালি পেটেই থাকতে হয়। তখন মহামূল্যবান লিফট দিয়ে উঠানামা করেই পেটকে সান্ত্বনা দিতে হয়।
যেই কথা সেই কাজ। ২০ লক্ষ খরচ করে লিফট কেনা হলো, আর ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হলো জেনারেটর, যেন বিদ্যুৎ চলে গেলেও বিনা বাধায় লিফট চলতে পারে। তবে লিফটের পেছনে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করলেও ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করে ফ্রিজ কিনতে রাজী হলেন না বাড়ির কর্তা।
কিন্তু এতে সমস্যাও কিছু হচ্ছে। তিনি ছুটি পান শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিনে, মানে সপ্তাহে মাত্র ১ দিন। ঐ ১ দিন তিনি বাজার-সদাই করতে পারবেন, এর বেশি না। কিন্তু মাত্র ১ দিনের বাজার বাসায় আনার পর শুধু চাল-ডাল টিকলেও টিকে না মাছ-মাংশ আর সবজী। বড় জোর ২-৩ তিন জোড়া তালি লাগায় চলা যায়্। কিন্তু বাকি ৪ দিন কষ্ঠ করে থাকতে হয়। অনেক সময় হোটেল থেকে উচ্চমূল্যে খাবার কিনে খেতে হয়। এতে মাসিক খরচ ২-৩ গুন পর্যন্ত হয়। যতক্ষণ নগদ টাকা থাকে, ততক্ষণ বাইরে থেকে উচ্চমূল্যের খাবার কেনা যায়, কিন্তু নগদ টাকা না থাকলে অনেক সময় খালি পেটেই থাকতে হয়। তখন মহামূল্যবান লিফট দিয়ে উঠানামা করেই পেটকে সান্ত্বনা দিতে হয়।
উপরের গল্পটা একটা কাল্পানিক গল্পমাত্র। তবে এর সাথে তুলনা করা যায় বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক পলিসি। সরকার লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সেতু, বিমানবন্দর, অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর করতেছে, কিন্তু সামান্য টাকা খরচ করে হিমাগার নির্মাণ করতে অনাগ্রহী। সরকারের সাফ সাফ বক্তব্য, সরকারের পলিসির মধ্যে সরকারী খরচে হিমাগার নির্মাণ নেই। (https://bit.ly/2HDOGsE)
অথচ ফসলী সময় যে বিপুল পরিমাণে সবজী ও ফসল উৎপাদন হয়, সেগুলো যদি সরকারী ভাবে হিমাগার নির্মাণ করে সেখানে সংরক্ষণ করা হতো, তবে খাদ্যের অপচয়ও হতো না, আর অন্য সময়ে উচ্চমূল্য দিয়ে বিদেশ খাদ্য আমদানি করে খেতেও হতো না।
অথচ ফসলী সময় যে বিপুল পরিমাণে সবজী ও ফসল উৎপাদন হয়, সেগুলো যদি সরকারী ভাবে হিমাগার নির্মাণ করে সেখানে সংরক্ষণ করা হতো, তবে খাদ্যের অপচয়ও হতো না, আর অন্য সময়ে উচ্চমূল্য দিয়ে বিদেশ খাদ্য আমদানি করে খেতেও হতো না।
একটা ছোট সংসার যদি ফ্রিজ ছাড়া চলতে না পারে, তবে একটা দেশ কিভাবে হিমাগার ছাড়া চলতে পারে? শুধু লিফটে উঠানামা করলে যেমন পেট ভরবে না, তেমনি ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলে চড়লে জনগণের পেট ভরবে না। জনগণকে দিতে হবে স্বল্পমূল্যে খাদ্য। জনগণের এখন এক শ্লোগান হওয়া উচিত – “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”।
খবর-
পিয়াজের উচ্চ মূল্যের মূল কারণ হিমাগারের অভাব - https://bit.ly/35Ohira
পিয়াজের উচ্চ মূল্যের মূল কারণ হিমাগারের অভাব - https://bit.ly/35Ohira