ক্যাসিনোকাণ্ড আর পেয়াজকাণ্ডের মধ্যে কি কোন সম্পর্ক আছে ? এন.সি- ১৩৬

ক্যাসিনোকাণ্ড আর পেয়াজকাণ্ডের মধ্যে কি কোন সম্পর্ক আছে ?

Related image
ক্যাসিনোকাণ্ড আর পেয়াজকাণ্ডের মধ্যে কি কোন সম্পর্ক আছে ?
এবার পেয়াজকাণ্ডের পর আমি বলেছিলাম, এবারের পেয়াজকাণ্ড খুবই সন্দেহজনক এবং এর সাথে ক্যাসিনোকাণ্ড ও টাকা পাচারের সম্পর্ক থাকতে পারে।
মানে ক্যাসিনোকাণ্ডের পর একটি মহলের প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা পাচারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে যায়, যার জন্যে পেয়াজকাণ্ডের মত একটি উপলক্ষ্য দরকার ছিলো। আর সেক্ষেত্রে ভারতের পেয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিলো তাদের জন্য মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মত। যার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে প্রচুর প্যানিক তৈরী করা যায়, আর তার অজুহাতে ব্যাপক হারে কোন পণ্য জবাবদিহিতা ছাড়া আমদানি করার উপলক্ষ তৈরী হয়। আর পেয়াজ আমদানি যেহেতু শুল্কমুক্ত, তাই সন্দেহটা অনেক বেশি।
আজকে দৈনিক ইত্তেফাক এক খবরে বলছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিজান শুরুর দুইদিন পর দুই পিকআপে ঢাকা থেকে টাকা গেছে চট্টগ্রামের দিকে (গোয়েন্দাদের কাছে ২ পিকআপের খবর আছে, আরো পিকআপ থাকতে পারে)। (https://bit.ly/2LPX3kU)
এখন দেখতে হবে, চট্টগ্রাম বন্দর বা টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে কোন পণ্য ব্যাপকহারে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
নিঃসন্দেহে সেটা পেয়াজ।
গত কয়েক সপ্তাহে মায়ানমার থেকে শুধু টেননাফ স্থল বন্দর দিয়ে ঢুকেছে ৩৫ লক্ষ কেজি পেয়াজ।
(https://bit.ly/2VgZTlS)
আর ১ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ঢুকেছে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার কেজি পেয়াজ। (https://bit.ly/2AGqake)
এখন আসলে ২টা জিনিস দেখার আছে-
১) কাগজপত্রে দেখতে হবে যে পেয়াজ আসছে তার কেজি কত করে ?
সরকারের দাবীকৃত ৪২-৪৩ টাকা, নাকি ১০০০ টাকা কেজি।
২) কাগজপত্রে যে পরিমাণ পেয়াজ ঢুকেছে, বাস্তবেই কি সে পরিমাণ পেয়াজ এসেছে ?
নাকি ৩৫ লক্ষ কেজি পেয়াজের কথা বলে সাড়ে ৩ লক্ষ কেজি পেয়াজ ঢুকেছে।
এ্ হিসেবটা যে প্রকাশ করেছে, তাা কতটুকু সত্য ?
এই দুইটা বিষয়ে যদি গড়মিল পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে টাকা পাচার হয়ে গেছে।
অর্থাৎ বেশি দাম ধরে টাকা পাচার হয়েছে,
অথবা দাম ঠিক আছে, কিন্তু পণ্য কম আসার মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে।
[পাচারের এই বিষয়টি বুঝতে হলে আপনি যদি কোন দোকানে কিছু ক্রয় করেন, তখন আপনি ক্যাশ মেমো চাইলে তারা বলে ক্যাশ মেমোতে কত দাম লিখবো, তা জিজ্ঞেস করে এবং আপনার পছন্দসই দাম লিখে দেয়। এভাবে বিভিন্ন কোম্পানির পারচেজে প্রচুর পরিমাণ টাকা লোপাট হয়। এটা যে বুঝবে, সে আমদানি রফতানির মাধ্যমে টাকা পাচারের বিষয়টিও বুঝবে।]
যাই হোক- যারা ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত, তারা অবশ্যই ভালো লোক হবে না।
এবং তারা বাংলাদেশে ইয়াবা বা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
এ কারণে তারা অন্য কোন দেশের তুলনায় মায়ানমারকে বেছে নিতে পারে আমদানি’র জন্য।
কারণ মায়ানমার হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাদক কেন্দ্র বা গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের অংশ।
এবং সেখান থেকেই বাংলাদেশে ইয়াবা আসে।
বাংলাদেশ থেকে তাই টাকা পাচার করে মায়ানামার নিতে পারলে তাদের মাদকের নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হওয়া সোজা অথবা এর মাধ্যমে মাদকের কোন বিলও পরিশোধ করা হতে পারে।
একারণে মায়ানমার থেকে কয়েক সপ্তাহে কাগজ কলমে ৩৫ লক্ষ কেজি পেয়াজ এসেছে তা খুবই সন্দেহজনক।