শেখ হাসিনার ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে যোগদান : ফকির পাড়ায় ভিক্ষা -১
ছোটবেলায় একটা বাগধারা শুনেছিলাম, “ফকির পাড়ায় ভিক্ষা করতে যাস না”।
বাগধারার মর্মার্থ হলো- ফকিররা তো নিজেই ভিক্ষা করে, তুই যদি তাদের এলাকায় ভিক্ষা করতে যাস, তবে তোকে ভিক্ষা দেয়া তো দূরের কথা উল্টো ফকিররা তোর থেকে আরো টাকা বাগিয়ে নেবে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে যোগাদান আমার সেরকম মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, এই ইন্ডিয়ান ইনোকোমিক সামিটে যোগ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ কিছুই আনতে পারবে না, বরং দিয়ে আসবে।
এখানে একটা বিষয় না বললেই নয়, কথিত ইন্ডিয়ান ইনোনোমিক সামিটে বাংলাদেশে ছাড়া অন্য কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখলাম না। অর্থাৎ শেখ হাসিনাই বিদেশ থেকে আগত অতিথিদের সর্বোচ্চ পদ মর্যাদার ব্যক্তি। শুধু তাই না, এই কয়েকদিনের অনুষ্ঠানে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও দেখলাম না, দেখলাম ভারতের বিভিন্ন স্টেটের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে আমার অনেকটা বেমানান মনে হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যেতে পারতো, কিন্তু শেখ হাসিনার এখানে যাওয়ার কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয়নি।
বাগধারার মর্মার্থ হলো- ফকিররা তো নিজেই ভিক্ষা করে, তুই যদি তাদের এলাকায় ভিক্ষা করতে যাস, তবে তোকে ভিক্ষা দেয়া তো দূরের কথা উল্টো ফকিররা তোর থেকে আরো টাকা বাগিয়ে নেবে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে যোগাদান আমার সেরকম মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, এই ইন্ডিয়ান ইনোকোমিক সামিটে যোগ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ কিছুই আনতে পারবে না, বরং দিয়ে আসবে।
এখানে একটা বিষয় না বললেই নয়, কথিত ইন্ডিয়ান ইনোনোমিক সামিটে বাংলাদেশে ছাড়া অন্য কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখলাম না। অর্থাৎ শেখ হাসিনাই বিদেশ থেকে আগত অতিথিদের সর্বোচ্চ পদ মর্যাদার ব্যক্তি। শুধু তাই না, এই কয়েকদিনের অনুষ্ঠানে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও দেখলাম না, দেখলাম ভারতের বিভিন্ন স্টেটের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে আমার অনেকটা বেমানান মনে হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যেতে পারতো, কিন্তু শেখ হাসিনার এখানে যাওয়ার কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয়নি।
শেখ হাসিনা ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে তৈরী হতে থাকা ইকোনোমিক জোনে ইনভেস্ট করার জন্য আহবান জানিয়েছে। কিছুদিন আগে মোদিকেও দেখলাম, বিদেশ ঘুড়ে ঘুড়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে করে বলছে, তাদের দেশে (ভারতে) তৈরী হওয়া স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে যেন বৈদেশিক ব্যবসায়ীরা ইনভেস্ট করে (https://bit.ly/2Ox9i7N)। ভারত যেখানে নিজেই তাদের ইকোনোমিক জোনে ইনভেস্ট খুজতেছে, সেখানে শেখ হাসিনা সেই ভারতের দ্বারে ঘুড়তেছে ইনভেস্ট নেয়ার জন্য, আমার কাছে বিষয়টি ‘ফকির পাড়ায় ভিক্ষার মত মনে হয়েছে।
অনেকে হয়ত বলতে পারেন-
ভাই আপনি জানেন না, ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মীর সরাইয়ে ইকোনোমিক জোনে যায়গা নিচ্ছে।
তাদের উত্তরে আমি বলবো- আমি জানি, আর আমার সেখানেই আপত্তি।
ভারত মীর সরাইয়ের যায়গা নিচ্ছে, সেটা তারা কত বছরের মধ্যে ইনভেস্ট করবে ?
কত বছরের মধ্যে কলকারখানা গড়বে ? কলকারখানা গড়লে কত বছরের মধ্যে সেটা আমাদের বেকারদের চাকুরী দেবে ? কত বেকার সেখানে চাকুরী পাবে ?
আমি নিশ্চিত, ভারত যদি মীর সরাইয়ে কিছু করেও সেটা ১০ বছরের আগে না (কমপ্লিট হবে না)।
ভাই আপনি জানেন না, ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মীর সরাইয়ে ইকোনোমিক জোনে যায়গা নিচ্ছে।
তাদের উত্তরে আমি বলবো- আমি জানি, আর আমার সেখানেই আপত্তি।
ভারত মীর সরাইয়ের যায়গা নিচ্ছে, সেটা তারা কত বছরের মধ্যে ইনভেস্ট করবে ?
কত বছরের মধ্যে কলকারখানা গড়বে ? কলকারখানা গড়লে কত বছরের মধ্যে সেটা আমাদের বেকারদের চাকুরী দেবে ? কত বেকার সেখানে চাকুরী পাবে ?
আমি নিশ্চিত, ভারত যদি মীর সরাইয়ে কিছু করেও সেটা ১০ বছরের আগে না (কমপ্লিট হবে না)।
এই যে ১০ বছর পর ভারত ইনভেস্ট করে বাংলাদেশের কিছু লোককে চাকুরী দিবে, এর জন্য আমরা ভারতের জন্য কি করতেছি, সেটা হিসেব করেন আগে-
১) মীর সরাইয়ে ৩৫ হাজার কৃষককে উচ্ছেদ করছি, ভারতের জন্য ইকোনোমিক জোন খালি করে দেয়ার জন্য। (https://bit.ly/2VkdgSj)
২) মীর সরাইয়কে ইকোনোমিক জোনের জন্য জায়গা প্রস্তুত করছে বেজা। বেজা সেখানে হাজার কোটি টাকা খরচ করতেছে, সেটা আমাদের বাজেট থেকে আসতেছে। আর সেই টাকাটা আমার-আপনার ট্যাক্সের টাকা থেকে কেটে নিচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে সেখান থেকে কেটে নিচ্ছে। ভারত কিন্তু এই খরচের ১টাকাও দিচ্ছে না।
৩) ব্যবসায়ীদের আগমন হতে হলে আগে দেখাতে হবে আমরা বিদ্যুৎ সুবিধা তৈরী রেখেছি। বাংলাদেশে এখন বিদ্যুৎ চাহিদা ৯-১২ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু উৎপাদন ক্ষমতা করা হয়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াট। প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ অতিরিক্ত প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিদেশী ব্যবসায়ীদের দেখানোর জন্য। কিন্তু সেটা এখন আমাদের দরকার নাই। অথচ সেই খরচ পোষাতে গিয়ে সরকারকে ট্যাক্স/মাসুল/ফি বাড়াতে হচ্ছে, জনগণের দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
৪) বিদেশী ব্যবসায়ীদের দেখাতে হবে আমাদের রাস্তাঘাট উন্নত, বন্দরগুলো উন্নত। এগুলো দেখানোর জন্য অতিরিক্ত খরচ করে সরকার বড় বড় রাস্তা করতেছে যা আমাদের আপাতত দরকার নাই। অথচ সেই খরচ ভারত দিচ্ছে না, আমাদের জনগণের পকেট থেকে কাটা হচ্ছে। এতে জনগণের দৈনন্দিন চাহিদা বেড়ে মাথায় উঠার অবস্থা।
৫) বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যাপ্ত করতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে বিদেশ থেকে। এর জন্য সরকারকে ভতুর্কি দিতে হবে বছরে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা। যা কেটে নেয়া হচ্ছে জনগণের দৈনন্দিন খরচ থেকে।
৬) ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে নৌ পথে ব্যবসা করতে গেলে রাজশাহীতে একটি নৌ বন্দর করতে হবে। সেই নৌ বন্দর করতে গেলে পদ্মা নদীতে খনন লাগবে। ভারত কিন্তু এখনও টাকা দেয় নাই, তার আগেই শেখ হাসিনা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে জনগণের টাকায় পদ্মায় খনন শুরু করে দিয়েছে। (https://bit.ly/2AJtmM3)
১) মীর সরাইয়ে ৩৫ হাজার কৃষককে উচ্ছেদ করছি, ভারতের জন্য ইকোনোমিক জোন খালি করে দেয়ার জন্য। (https://bit.ly/2VkdgSj)
২) মীর সরাইয়কে ইকোনোমিক জোনের জন্য জায়গা প্রস্তুত করছে বেজা। বেজা সেখানে হাজার কোটি টাকা খরচ করতেছে, সেটা আমাদের বাজেট থেকে আসতেছে। আর সেই টাকাটা আমার-আপনার ট্যাক্সের টাকা থেকে কেটে নিচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে সেখান থেকে কেটে নিচ্ছে। ভারত কিন্তু এই খরচের ১টাকাও দিচ্ছে না।
৩) ব্যবসায়ীদের আগমন হতে হলে আগে দেখাতে হবে আমরা বিদ্যুৎ সুবিধা তৈরী রেখেছি। বাংলাদেশে এখন বিদ্যুৎ চাহিদা ৯-১২ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু উৎপাদন ক্ষমতা করা হয়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াট। প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ অতিরিক্ত প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিদেশী ব্যবসায়ীদের দেখানোর জন্য। কিন্তু সেটা এখন আমাদের দরকার নাই। অথচ সেই খরচ পোষাতে গিয়ে সরকারকে ট্যাক্স/মাসুল/ফি বাড়াতে হচ্ছে, জনগণের দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
৪) বিদেশী ব্যবসায়ীদের দেখাতে হবে আমাদের রাস্তাঘাট উন্নত, বন্দরগুলো উন্নত। এগুলো দেখানোর জন্য অতিরিক্ত খরচ করে সরকার বড় বড় রাস্তা করতেছে যা আমাদের আপাতত দরকার নাই। অথচ সেই খরচ ভারত দিচ্ছে না, আমাদের জনগণের পকেট থেকে কাটা হচ্ছে। এতে জনগণের দৈনন্দিন চাহিদা বেড়ে মাথায় উঠার অবস্থা।
৫) বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যাপ্ত করতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে বিদেশ থেকে। এর জন্য সরকারকে ভতুর্কি দিতে হবে বছরে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা। যা কেটে নেয়া হচ্ছে জনগণের দৈনন্দিন খরচ থেকে।
৬) ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে নৌ পথে ব্যবসা করতে গেলে রাজশাহীতে একটি নৌ বন্দর করতে হবে। সেই নৌ বন্দর করতে গেলে পদ্মা নদীতে খনন লাগবে। ভারত কিন্তু এখনও টাকা দেয় নাই, তার আগেই শেখ হাসিনা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে জনগণের টাকায় পদ্মায় খনন শুরু করে দিয়েছে। (https://bit.ly/2AJtmM3)
কথা হলো- ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ১০ বছর পর এসে আমাদের কি উপকার করবে, আদৌ কিরবে কি করবে না সেটা নিয়ে চিন্তা দরকার আছে। কিন্তু তাদের আসার গ্রাউন্ড তৈরীর নামে জনগণের পকেটের টাকা যেভাবে লুটপাট হচ্ছে তা খুব কঠিন বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ ইনকাম করতেছে, কিন্তু দিনশেষে টাকা থাকতেছে না, কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্নের বিষয় হলো- জনগণের উপর অতিরিক্ত খরচের যে স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে, তা যদি ১০ বছর অব্যাহত থাকে, তবে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, ১০ বছর কিছু ভারতীয় কল-কারখানা বাংলাদেশে এসে জনগণকে কিছু চাকুরী দিলে সেই ক্ষতি পোষাবে কি না, নিজেই আগে থেকে হিসেব কষে দেখুন।
(চলবে)