এটা ঠিক সম্প্রতি আওয়ামীলীগ শুদ্ধি অভিজান করার সময় কিছু কিছু উগ্রহিন্দুকে দূরে ঠেলেছে। এন.সি-৮২

Related image
গত এক সপ্তাহের খবর-
১) অতিরিক্ত ডিআইজি হলো শ্যামল কুমার নাথ
২) বিটিআরসির কমিশনার হলো সুব্রত রায়
৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হলো স্বপন কুমার রায়
এটা ঠিক সম্প্রতি আওয়ামীলীগ শুদ্ধি অভিজান করার সময় কিছু কিছু উগ্রহিন্দুকে দূরে ঠেলেছে। সেই উগ্রহিন্দুদের দূরে ঠেলার পর হয়ত ব্যালেন্স করার জন্য হলেও নতুন করে বেশ কয়েকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে কাছে টানলো আওয়ামীলীগ। আমার ধারণা- আওয়ামীলীগ ভালো হিন্দু আর খারাপ হিন্দুর মধ্যে পার্থক্য করার চেষ্টা করছে এবং সে অনুসারে নিয়োগ দিতে চাইছে।
আমার বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নিয়োগ দেয়ার সময় ভালো হিন্দু আর খারাপ হিন্দুর পার্থক্য করতে চাইলে ভুল করবে।
এ অঞ্চলে রিপাবলিকান ব্লকের উত্থান তথা মোদির আগমণের মাধ্যমে এ এলাকার হিন্দুদের পলিটিকাল অরিয়েনটেশন হয়েছে, এটা শতভাগ বিশ্বাসে আনতে হবে আওয়ামীলীগকে। এই হিন্দু আর সেই হিন্দু নেই। এখানে ভালো-মন্দ ভাগ করলে চলবে না। যেহেতু এটা ধর্মীয় মতাদর্শ দ্বারা পরবর্তন, তাই কে কখন কোন আচরণ করে তা বোঝা মুশকিল। রাতে শিখদের উপর হামলা করেছিলো বলে, সকালে শিখ বডিগার্ড যে ইন্দিরা গান্ধীকে গুলি করে বসবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সেই বডিগার্ড নিশ্চয়ই কম বিশ্বাসী ছিলো না, কিন্তু কাজ হয়নি, জাতের টান বড় টান। দুদকের উপপরিচালক মলয় সাহার ঘরে যে প্রিয়া সাহার মত মহিলা বসে আছে, সেটা কিন্তু আওয়ামীলীগ চিন্তাও করেনি, যারা সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সরকারের বিরুদ্ধেই সিদ কেটেছে।
আমি আবারও বলছি, আওয়ামীলীগ চরম ভুল করবে, যদি সে ভালো হিন্দু আর খারাপ হিন্দু আলাদা করতে যায়।
রিপাবলিকানদের সাথে আওয়ামীলীগ এ ক্ষেত্রে বুদ্ধিতে কুলিয়ে উঠতে পারবে না।
হিন্দু মানেই রিপাবলিকান ব্লকের সদস্য, এবং আওয়ামীলীগের জন্য থ্রেট, এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে আওয়ামীলীগকে।
আর তাই প্রশাসন বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের রাখা মানেই যে কোন সময় বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা।
এখানে ভালো-মন্দ যাচাই করার কোন সুযোগ নেই।