“আমদানির কারণে পেয়াজের দাম কমেছে”
এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
বরং বাজারে নতুন পেয়াজ আসছে, তাই পেয়াজের দাম কমেছে।
যদি আমদানির কারণে পেয়াজের দাম কমতো, তবে আরো এক মাস আগেই কমার কথা ছিলো। কারণ তখন থেকেই প্রচুর পরিমাণে আমদানি হচ্ছে, কিন্তু তখন তো কমেনি, বরং বেড়েছে।
এখন যখন মার্কেটে নতুন পেয়াজ কম দামে আসা শুরু হয়েছে,
তখন আমদানিকারক ও কথিত মজুতদার সিন্ডিকেটরা আর পেয়াজ আটকে রাখতে পারছে না,
তারা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
তাই এখানে পেয়াজ দাম কমার ক্রেডিট সরকার বা আমদানিকারক কারোরই নয়,
বরং দেশের আপামর কৃষক শ্র্রেণীর।
এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
বরং বাজারে নতুন পেয়াজ আসছে, তাই পেয়াজের দাম কমেছে।
যদি আমদানির কারণে পেয়াজের দাম কমতো, তবে আরো এক মাস আগেই কমার কথা ছিলো। কারণ তখন থেকেই প্রচুর পরিমাণে আমদানি হচ্ছে, কিন্তু তখন তো কমেনি, বরং বেড়েছে।
এখন যখন মার্কেটে নতুন পেয়াজ কম দামে আসা শুরু হয়েছে,
তখন আমদানিকারক ও কথিত মজুতদার সিন্ডিকেটরা আর পেয়াজ আটকে রাখতে পারছে না,
তারা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
তাই এখানে পেয়াজ দাম কমার ক্রেডিট সরকার বা আমদানিকারক কারোরই নয়,
বরং দেশের আপামর কৃষক শ্র্রেণীর।
তবে এই ঘটনা থেকে একটা হিসেব মেলানো যায়,
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল, এখানে খাদ্য চাহিদা প্রচুর।
সরকার ও তার দলীয় লোকজন চায়-
কৃষক যেন কৃষি কাজ ছেড়ে দেয়, তখন তারা আমদানি করে খাওয়াবে। আর সেই সুযোগে করবে বিশাল ব্যবসা।
কিন্তু বাস্তবে কৃষক যদি চাষবাস ছেড়ে দেয়, তখন খাদ্যের লাগাম সরকার ও তার দলীয় সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাবে, আর তখন তারা ১৭ টাকায় কেনা পেয়াজ জনগণের কাছে ২০ গুন দাম মানে ২৫০ টাকা পর্যন্ত রাখবে। এভাবে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যগুলো যদি আমদানি নির্ভর করা যায়, তখন তারা প্রয়োজনে দেশে দুর্ভিক্ষ বাধায় দিবে, তবুও ১ পয়সা কম লাভে জনগণকে ছাড় দেবে না। অন্তত পেয়াজের ঘটনা তাই বলে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল, এখানে খাদ্য চাহিদা প্রচুর।
সরকার ও তার দলীয় লোকজন চায়-
কৃষক যেন কৃষি কাজ ছেড়ে দেয়, তখন তারা আমদানি করে খাওয়াবে। আর সেই সুযোগে করবে বিশাল ব্যবসা।
কিন্তু বাস্তবে কৃষক যদি চাষবাস ছেড়ে দেয়, তখন খাদ্যের লাগাম সরকার ও তার দলীয় সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাবে, আর তখন তারা ১৭ টাকায় কেনা পেয়াজ জনগণের কাছে ২০ গুন দাম মানে ২৫০ টাকা পর্যন্ত রাখবে। এভাবে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যগুলো যদি আমদানি নির্ভর করা যায়, তখন তারা প্রয়োজনে দেশে দুর্ভিক্ষ বাধায় দিবে, তবুও ১ পয়সা কম লাভে জনগণকে ছাড় দেবে না। অন্তত পেয়াজের ঘটনা তাই বলে।
এখান থেকে জনগণের শিক্ষাটা হলো-
কিছুতেই খাদ্য দ্রব্যের লাগাম কৃষক শ্রেণীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে দেয়া যাবে না। সরকারের হর্তা কর্তারা যতই সুন্দর বাক্য বলুক- “আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে প্রত্যাবর্তন করছি”, “শিল্পের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে” ইত্যাদি ইত্যাদি -এগুলো শুনে বিমোহিত হওয়া যাবে না। কৃষিতে গুরুত্বহ্রাসের বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়া যাবে না। কারণ খাদ্যদ্রবের সংকট পড়লে এরাই একদিকে বলবে- “না খেলে কি হয়, আমিও তো খাই না”, অপরদিকে তারাই আমদানির ২০ গুন দাম বাড়িয়ে জনগণের গলায় ছুরি ধরবে।
সুতরাং শিল্পের নাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল কৃষিকে ধ্বংস করে জনগণের খাদ্যকে কুক্ষিগত করে যে বিপুল লাভবান হওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে শক্তভাব রূখে দাড়াতে হবে। পেয়াজের ঘটনা থেকে আমাদের সেই শিক্ষাটাই নেয়া উচিত।
কিছুতেই খাদ্য দ্রব্যের লাগাম কৃষক শ্রেণীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে দেয়া যাবে না। সরকারের হর্তা কর্তারা যতই সুন্দর বাক্য বলুক- “আমরা কৃষি থেকে শিল্পের দিকে প্রত্যাবর্তন করছি”, “শিল্পের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে” ইত্যাদি ইত্যাদি -এগুলো শুনে বিমোহিত হওয়া যাবে না। কৃষিতে গুরুত্বহ্রাসের বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়া যাবে না। কারণ খাদ্যদ্রবের সংকট পড়লে এরাই একদিকে বলবে- “না খেলে কি হয়, আমিও তো খাই না”, অপরদিকে তারাই আমদানির ২০ গুন দাম বাড়িয়ে জনগণের গলায় ছুরি ধরবে।
সুতরাং শিল্পের নাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল কৃষিকে ধ্বংস করে জনগণের খাদ্যকে কুক্ষিগত করে যে বিপুল লাভবান হওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে শক্তভাব রূখে দাড়াতে হবে। পেয়াজের ঘটনা থেকে আমাদের সেই শিক্ষাটাই নেয়া উচিত।