২০১৫ সালে বুয়েট ছাত্রদের ‘আড়ি পেতে শোনা’ নামক গ্রুপে দীপু সরকার নামক এক হিন্দুর পোস্টের চন্দ্র নাথ। এন.সি- ১৩৪

২০১৫ সালে বুয়েট ছাত্রদের ‘আড়ি পেতে শোনা’ নামক গ্রুপে দীপু সরকার নামক এক হিন্দুর পোস্টের চন্দ্র নাথ

২০১৫ সালে বুয়েট ছাত্রদের ‘আড়ি পেতে শোনা’ নামক গ্রুপে দীপু সরকার নামক এক হিন্দুর পোস্টের চন্দ্র নাথ নামক একজনের কমেন্টে ভারত বিরোধী উত্তর করেছিলেন বুয়েট শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। ঐ কারণে সেই শিক্ষককে তৎকালীন বুয়েট ছাত্রলীগের হিন্দু সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার টেনে হিচরে গায়ে হাত তুলে লাঞ্চিত করে।
একজন শিক্ষক যে মতাবলম্বী হোক, ছাত্ররা শিক্ষকের গায়ে হাত তোলে এমন নজির বাংলাদেশের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু সেই নজির স্থাপন করেছিলো বুয়েট ছাত্রলীগের হিন্দু নেতা।
২০১৬ সালে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের করা সিভিল সামিটে গরুর মাংশ দেয়ার অভিযোগে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলো ছাত্রলীগের হিন্দু সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার। দুইজন সম্মানিত শিক্ষককে সবার সামনে অপমান করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিলো। এমনকি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের একত্রিকরণ বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসতো (বিপক্ষে যেত ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের স্বার্থের) সেটা বন্ধ করে দিয়েছিলো শুভ্র জ্যোতি টিকাদাররা। (উল্লেখ্য, এ বছর জুন মাসে শুভ্র জ্যোতি টিকাদার পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করে)
যারা বুয়েটে পড়ে তারা বুয়েটে উগ্রহিন্দুদের দৌরত্ব সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানে। অনেকের দাবী হলো- বুয়েটে শুধু ইসকন নয়, ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলাদেশ শাখাও সেখানে সক্রিয়। আসলে আমি বুয়েটে উগ্র হিন্দুদের দৌরত্ব সম্পর্কে বলছি এ কারণে, সেখানে কিছু হিন্দু ছাত্রের ভারতপন্থীতা অত্যাধিক বেশি। অর্থাৎ বুয়েটে এমন কিছু ছাত্র নিয়োগ করা আছে, যাদের দেখলে সন্দেহ হয়, তারা ভারতীয় স্বার্থ দেখতে সরাসরি ভারতীয় দূতাবাস থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত কি না ? যারা ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু দেখলে সাথে ব্যবস্থা নেয় এবং হয়ত ভারতীয় দূতাবাস থেকে সরাসরি তাদের শেল্টার দেয়া হয়।
আজকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কৃষ্ণপদ রায় যে ঘটনা ঘটালো তাকে আমি অবাক হয়েছি। কারণ যে আওয়ামীলীগ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করছে, সম্রাট-খালেদের মত নেতাদের ধরে ফেলছে, সেই আওয়ামীলীগ সরকার ঐ সিটিটিভি ফুটেজে এমন কি পাইলো, যা পুরোটা প্রকাশ না করতে তারা ছাত্রদের সাথে হাতাহাতি পর্যন্ত করালো ? নাকি তারা কাউকে বাচাতে চাইছে ? কিন্তু কাকে বাচাতে চাইছে ? কে সেই ছাত্র ??
আমি নিশ্চিত, সেই ছাত্রকে বাচানো আওয়ামীলীগের স্বার্থ হতে পারে না, অন্তত আওয়ামলীগের বর্তমান নীতি সেটা বলে না। তবে সেটা কার স্বার্থ হতে পারে ? অবশ্যই সেটা আওয়ামীলীগের বন্ধু রাষ্ট্রে দূতাবাসের স্বার্থ, যা পালন করতে তারা বদ্ধ পরিকর। এবং এসব ক্ষেত্রেই কেবল আওয়ামীলীগ নো-কম্প্রমাইজ নীতি ফলো করে।
একটা বিষয় খেয়াল করবেন- আবরার হত্যায় প্রথম থেকে নাম আসছিলো ইসকনের সাথে জড়িত অমিত সাহার নাম। এমনকি তার বা তার সমগোত্রীয় কারো বিছানায় ফেলে তাকে হত্যা করা হয় বলে অনেকে বলেছে। এছাড়া অনেক মিডিয়ায় অমিত সাহা যে আবরারকে হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে সেই খবরও প্রকাশিত। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মামলার আসামীর লিস্টে অমিত সাহার নাম নাই, এমনকি ছাত্রলীগ থেকে যাদের বহিষ্কার করা হলো তাদের মধ্যেও অমিত সাহার নাম নাই।
তাহলে ক্যালকুলেশন কি বলছে ?
তবে কি অমিত সাহাকে ভারতীয় দূতাবাস থেকেই বাচানোর নির্দেশ ছিলো ?
যা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করলো আওয়ামীলীগ !!