আজকে দেশে যে পেয়াজের মূল্য নিয়ে সমস্যা, এই সমস্যাটা এক দিনে গড়ে উঠেনি।
প্রতি বছর পেয়াজ মৌসুমের শেষের দিকে এই পেয়াজের দামের উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু প্রতি বছর এই সমস্যা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দেশী পদ্ধতিতে সে সমাধান না করে,
বিদেশ থেকে আমদানি করে সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এখন যখন বিদেশ থেকে পেয়াজ বন্ধ করে দিছে,
তখন দেশের মধ্যে হাহাকার তৈরী হয়েছে।
অথচ ফি বছর মৌসুম শেষে পেয়াজ সংকটের কথা মাথায় রেখে সরকার যদি দেশীয় পেয়াজ কিভাবে সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়, সেই চিন্তা করতো, তবে আজকে এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখী হতে হতো না।
তবে এবার পেয়াজের উচ্চমূল্য আমাদেরকে একটা শিক্ষা দিচ্ছে,
সেটা হলো আমাদের খাদ্যের উচ্চমূল্যের সাথে অভ্যস্ত হওয়ার সময় এসেছে।
পেয়াজ দিয়ে সেই টেস্ট কেস করা হলো।
আমি যে কর্পোরেটোক্রেসি নামক অর্থনৈতিক আগ্রাসনের কথা বলি, সেটা প্রধান লক্ষণ হলো জনগণের দৈনন্দির খরচ বেড়ে যাবে। জনগণ হাসফাস করবে, তৈরী হবে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ। এক বাবার ইনকামে সংসার চলবে না, মা-ভাই-বোন সবাইকে ইনকাম করতে মাঠে নামতে হয়। ফলে শ্রমের মূল্য সস্তা হবে, আর বিদেশী কর্পোরেটরা সস্তায় শ্রম পাবে।
প্রতি বছর পেয়াজ মৌসুমের শেষের দিকে এই পেয়াজের দামের উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু প্রতি বছর এই সমস্যা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দেশী পদ্ধতিতে সে সমাধান না করে,
বিদেশ থেকে আমদানি করে সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এখন যখন বিদেশ থেকে পেয়াজ বন্ধ করে দিছে,
তখন দেশের মধ্যে হাহাকার তৈরী হয়েছে।
অথচ ফি বছর মৌসুম শেষে পেয়াজ সংকটের কথা মাথায় রেখে সরকার যদি দেশীয় পেয়াজ কিভাবে সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়, সেই চিন্তা করতো, তবে আজকে এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখী হতে হতো না।
তবে এবার পেয়াজের উচ্চমূল্য আমাদেরকে একটা শিক্ষা দিচ্ছে,
সেটা হলো আমাদের খাদ্যের উচ্চমূল্যের সাথে অভ্যস্ত হওয়ার সময় এসেছে।
পেয়াজ দিয়ে সেই টেস্ট কেস করা হলো।
আমি যে কর্পোরেটোক্রেসি নামক অর্থনৈতিক আগ্রাসনের কথা বলি, সেটা প্রধান লক্ষণ হলো জনগণের দৈনন্দির খরচ বেড়ে যাবে। জনগণ হাসফাস করবে, তৈরী হবে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ। এক বাবার ইনকামে সংসার চলবে না, মা-ভাই-বোন সবাইকে ইনকাম করতে মাঠে নামতে হয়। ফলে শ্রমের মূল্য সস্তা হবে, আর বিদেশী কর্পোরেটরা সস্তায় শ্রম পাবে।
গত ৩রা মার্চ, ২০১৯ তারিখে আমি একটা পোস্টে বলেছিলাম- কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্র রুখতে হলে, একটা শ্লোগান চালু করতে হবে। শ্লোগানটা হলো- “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”।
আমি বলেছিলাম, এই একটি মাত্র শ্লোগান যদি সারা দেশের মানুষ একযোগে বলতে পারে,
কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া সম্ভব। কারণ-
কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্রটা প্রবেশ করে উন্নয়ন নামক ছিদ্র দিয়ে। আর সাইড এফেক্ট হিসেবে দিয়ে যায় খরচ বৃদ্ধি।
আমি বলেছিলাম, এই একটি মাত্র শ্লোগান যদি সারা দেশের মানুষ একযোগে বলতে পারে,
কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া সম্ভব। কারণ-
কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্রটা প্রবেশ করে উন্নয়ন নামক ছিদ্র দিয়ে। আর সাইড এফেক্ট হিসেবে দিয়ে যায় খরচ বৃদ্ধি।
কিন্তু সমস্যা হলো- খরচ কমাতে হবে, এটা পাবলিকের গণসমস্যা হলেও পাবলিক ভয়েসে এখন ভাইরাল হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছে না। পাবলিক এখন দাতে দাত চেপে সেই সমস্যা সহ্য করে যাচ্ছে। অপরদিকে, পাবলিক এখনও কথা বলে যাচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলা, গুলতেকিনের ৫৬ বছরের বিয়ে, কিংবা নূর হোসেনের মাদকাসক্ত নিয়ে।
অথচ পেয়াজের মূল্যবৃদ্ধি আমাদেরকে জানান দিচ্ছে,
সামনে আরো অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে, তখন জনগণ কি করবে ?
পেয়াজ ছাড়াও হয়ত রান্নার কাজ চালানো যাবে, কিন্তু চাল,ডাল, তেল, লবন, চিনি, আটার সংকট হলে তখন কি হবে, জনগণ কি তখন সেগুলো না খেয়েই থাকবে ? ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্ষপ্রেসওয়ে, স্যাটেলাইট, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সমুদ্রবন্দর আর টানেলে চড়লে কি পেট ভরবে?
সামনে আরো অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে, তখন জনগণ কি করবে ?
পেয়াজ ছাড়াও হয়ত রান্নার কাজ চালানো যাবে, কিন্তু চাল,ডাল, তেল, লবন, চিনি, আটার সংকট হলে তখন কি হবে, জনগণ কি তখন সেগুলো না খেয়েই থাকবে ? ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্ষপ্রেসওয়ে, স্যাটেলাইট, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সমুদ্রবন্দর আর টানেলে চড়লে কি পেট ভরবে?
অথচ সরকারের বর্তমান যে পলিসি, তাতে এটা হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র, অনেকাংশে শুরু হয়ে গেছে।
এখন সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, গণমানুষের পক্ষ থেকে দাবী তোলা-
“উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”- এই শ্লোগান ভাইরাল করা।
পাবলিককে বলতে হবে- আমাদের কোন উন্নয়ন দরকার নাই, আমাদের সব কিছুর খরচ কমায় দেন, এটাই আমাদের উন্নয়ন। ফ্লাইওভার মেট্রোরেল দিয়ে সরকারের সাফল্য মাপা হবে না, মাপা হবে চালের দাম অর্ধেক আর ডালের দাম অর্ধেক হলো কি না, এটা দিয়ে। সুতরাং সেদিকে আগে দৃষ্টি দেন।
এখন সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, গণমানুষের পক্ষ থেকে দাবী তোলা-
“উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”- এই শ্লোগান ভাইরাল করা।
পাবলিককে বলতে হবে- আমাদের কোন উন্নয়ন দরকার নাই, আমাদের সব কিছুর খরচ কমায় দেন, এটাই আমাদের উন্নয়ন। ফ্লাইওভার মেট্রোরেল দিয়ে সরকারের সাফল্য মাপা হবে না, মাপা হবে চালের দাম অর্ধেক আর ডালের দাম অর্ধেক হলো কি না, এটা দিয়ে। সুতরাং সেদিকে আগে দৃষ্টি দেন।
সবাইকে বলছি-
প্রয়োজনে “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”- এই শ্লোগানের উপর হ্যাশট্যাগ চালু করেন। সবাই এটা নিয়ে পোস্ট করুন। অন্যদের পোস্ট করতে বলুন। বিষয়টি ভাইরাল করুন।
আরো আগে থেকেই জনগণের এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে অন্য সব ইস্যু বাদ দিয়ে এটা নিয়ে লেখালেখি করার দরকার ছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয়- মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে সে প্রতিবাদ করে না। আমার মনে হয়, এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি, তবে সময় সংক্ষিপ্ত।
প্রয়োজনে “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”- এই শ্লোগানের উপর হ্যাশট্যাগ চালু করেন। সবাই এটা নিয়ে পোস্ট করুন। অন্যদের পোস্ট করতে বলুন। বিষয়টি ভাইরাল করুন।
আরো আগে থেকেই জনগণের এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে অন্য সব ইস্যু বাদ দিয়ে এটা নিয়ে লেখালেখি করার দরকার ছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয়- মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে সে প্রতিবাদ করে না। আমার মনে হয়, এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি, তবে সময় সংক্ষিপ্ত।