ইসকন মন্দিরের ভেতরে টর্চার সেল।এন.সি- ৯১

Related image
ইসকন মন্দিরের ভেতরে টর্চার সেল। এন.সি- ৯১

ইসকন মন্দিরের ভেতরে টর্চার সেল
২০১৭ সালে সিলেট ইসকন মন্দিরে কোন এক বহিরাগত ঢুকে পড়ে। সেই বহিরাগতকে রাতভর টর্চার চালায় ইসকন সদস্যরা। বিষয়টি ঘটেছিলো গোপনেই, কিন্তু কোন অতি-উৎসাহী সদস্য বুদ্ধিহীনতার দরুণ বিষয়টি Dinonath Das নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে দেয়।
ঐ ভিডিও’র বর্ণনা অনুসারে ঐ টর্চারে নেতৃত্ব দেয় মৌলভীবাজার জেলার চীফ জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট, ইসকন ভক্ত নির্জন মিত্র, সাথে থাকে ইসকনের যুব বা ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা। নির্জন মিত্রের পুরো নাম নির্জন কুমার মিত্র। সে বর্তমানে সিলেট জেলা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ। ২০১২ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৬ষ্ঠ ব্যাচের ১২৫ জনের মধ্যে একজন সে।
স্বাভাবিকভাবে একজন ইসকন সদস্য দেখায়, সে ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না। ইসকন মানেই নিরীহ, প্রেম-ভক্তি ইসকনের দর্শন। কিন্তু এই বর্ণনায় ফুটে উঠেছে, কতটা হিংস্র এই ইসকন সদস্যরা। তারা মানুষ হত্যা করে গুম করতে দ্বিধা বোধ করে না, তা এই লেখা ষ্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
উল্লেখ্য, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন আইন বিরোধী, পুলিশ বিষয়টি করলেও কখন তা কাগজ কলম বা মুখে স্বীকার করে না। তাই কোন মন্দিরের ভেতর যদি এ ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ উঠেই, তবে তা খতিয়ে দেয়া উচিত, বিশেষ করে কে কে ঘটনা ঘটিয়েছে তার স্ব-বিস্তার নাম এই লেখায় আছে। আর ভিডিওটি দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়, তাকে পিটিয়ে কোন স্বীকারক্তি আদায় করছে একদল গেরুয়া পোষাকধারী লোক। তাই তদন্ত করলে আইন বহির্ভূত নির্যাতনকারীদের বের করা কষ্টকর হবে না। বিশেষ করে যে ইসকনভক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র তার জবাবদিহিতা বেশি জরুরী। নয়ত বাংলাদেশের বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে হয়ে পড়বে।
ইউটিউবে বর্ণনা করা সেই স্ট্যাটাস-
“হরেকৃষ্ণ,সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা শহরের চীপ জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট, ইসকন ভক্ত শ্রীপাদ নির্জন মিত্র প্রভুর নেতৃত্বে, আমরা ইসকন নামদারী এক ভন্ড ভক্তের আসল রূপ প্রকাশ করলাম ।আমাদের ইউথ ফোরামের দেবর্ষি শ্রীবাস প্রভু, মোহন গোবিন্দ প্রভু, অনন্ত গৌরধাম প্রভু,নামহট্টের পরমপতি প্রভু,আদিঅনন্ত প্রভু,মধুর মোরলী প্রভু, বলদদেব প্রভু, আরো শ্যাম নিত্যানন্দ, পরম দয়ালু গোবিন্দ,রণজয়ী,দিব্যরূপ আমরা সকলে মিলে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ২|৩ টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে মারধর করেও স্বীকারোক্তি নিতে পারছিলাম না। মন্দিরের সেক্রেটারি ভাগবত করুনা প্রভু তো অধৈর্য হয়ে বলেই ফেললেন যে ওকে একদম জানে মেরে কোথাও গুম করে ফেলতে। আর নবদ্বীপ প্রভু ভারত থেকে বার বার ফোন দিচ্ছিলেন,স্কাইপিতে সব কিছু দেখছিলেন; তিনি বলেছিলেন যে, জান রেখে যা মারা যায়, আমরাও তাই করছিলাম। একবার মার খেয়ে শালা অজ্ঞান হলে ডাক্তার বিশ্বনাথ পাল প্রভু কি যেন করে জ্ঞান ফিরান, ডাক্তার রিপন বৈদ্য প্রভু বলছিলেন পাগলের ইনজেকশন দিয়ে ছেড়ে দিতে। সময় ক্ষেপন হচ্ছে দেখে মেজিষ্ট্রেট নির্জন মিত্র প্রভু আমাদের ধমক দিয়ে বললেন, লোহার রড গরম করে আনতে, সাথে বড় একটা বাল্তি গরম পানি আনতেও বললেন। তার পর আমরা শালা ভন্ডটাকে মুখের ভীতরে বড় একটুকরা কাপড় ঢুকিয়ে মাথা নিচের দিকে রেখে শক্ত করে পা বেঁধে উপরে ঝুলিয়ে রাখলাম ফেনের সাথে। রড দিয়ে আচ্ছামতো মারধর করে দুই মগ গরম পানি শরীরে ডালতেই হাত দিয়ে ইশারা করে,আর স্বীকারোক্তি দিতে রাজী হয়। আমরা যেমনি চেয়েছিলাম ঠিক তেমনি সে স্বীকারোক্তি দিতে রাজী হয় । নয়তো বা শালা ভন্ডের কপালে মরণ লিখা ছিল!! বাকিটুকু ভিডিওতে দেখতে পারেন:”
ভিডিও’র লিঙ্ক- https://youtu.be/u-zKzBwrFgY
আর্কাইভ - http://archive.md/DTdr4
ভিডিও আর্কাইভ- https://tinyurl.com/y3hxg8oh