কমলেশ তিওয়ারি হত্যা : একটি পর্যবেক্ষণ
গত ১৮ই অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে ভারতের উত্তর প্রদেশের উগ্রহিন্দুত্ববাদী নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করেছে। তবে কমলেশ তিওয়ারি নামটি মুসলিমদের কাছে পরিচিত অন্য কারণে। এই উগ্রহিন্দুত্ববাদী নেতা ২০১৫ সালের ১লা ডিসেম্বর তারিখে মুসলমানদের শেষ নবীকে সমকামী বলে কটূক্তি করে। এই ঘটনার পর পুরো ভারত জুড়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যদিও কিছুদিন পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গত ১৮ই অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে তাকে অজ্ঞাতনামা কর্তৃক হত্যার পর সেই সময়কার মুসলিমদের বক্তব্যগুলোকে পূজি করে ফের মুসলমানদের দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মুসলমানরাই এই উগ্রহিন্দুত্ববাদী নেতাকে হত্যা করেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুরো ভারত জুড়ে হিন্দু-মুসলিম অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশ হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বেশি দাঙ্গা প্রবণ এলাকা, যার মূখ্যমন্ত্রী উগ্রহিন্দুত্ববাদী নেতা যোগী আদিত্যনাথ। আরো উল্লেখ্য, বাবরী মসজিদ কিন্তু উত্তর প্রদেশের অযোধ্যতে অবস্থিত। যেই মসজিদের স্থানে রামের জন্মস্থান আছে বলে ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হয় এবং তাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয় ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বড় মুসলিম নিধনে দাঙ্গা।
গত ১৮ই অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে তাকে অজ্ঞাতনামা কর্তৃক হত্যার পর সেই সময়কার মুসলিমদের বক্তব্যগুলোকে পূজি করে ফের মুসলমানদের দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মুসলমানরাই এই উগ্রহিন্দুত্ববাদী নেতাকে হত্যা করেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুরো ভারত জুড়ে হিন্দু-মুসলিম অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশ হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বেশি দাঙ্গা প্রবণ এলাকা, যার মূখ্যমন্ত্রী উগ্রহিন্দুত্ববাদী নেতা যোগী আদিত্যনাথ। আরো উল্লেখ্য, বাবরী মসজিদ কিন্তু উত্তর প্রদেশের অযোধ্যতে অবস্থিত। যেই মসজিদের স্থানে রামের জন্মস্থান আছে বলে ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হয় এবং তাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয় ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বড় মুসলিম নিধনে দাঙ্গা।
আরো উল্লেখ্য-
গত ৬ই আগস্ট ২০১৯ তারিখে আমি এক স্ট্যাটাসে বলেছিলাম-
২০১১-১২ সালে আরএসএস’র পক্ষ থেকে যখন মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়া হয়, তখন মোদির প্রতি সমগ্র উগ্রহিন্দুদের ৩টি প্রধান দাবী ছিলো। মোদি ক্ষমতায় গেলে-
১) কাশ্মীরের বিশেষ ধারা বিলোপ করবে।
২) অভিন্ন দেওয়ানী আইন প্রবর্তন করতে হবে (৩ তালাক বিল পাশ হওয়া)
৩) রামমন্দির নির্মাণ করা।
ঐ স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম- নতুন টার্মে আসার পর গত কয়েকদিনের মধ্যে মোদি প্রথম ২টি বিষয় করে ফেলেছে। এখন শুধু বাকি ৩য় বিষয়টি। মানে বাবরি মসজিদের স্থানে চূড়ান্ত রামমন্দির নির্মাণ । কিন্তু সেটা করতে গেলে ভারত জুড়ে বড় ধরনের দাঙ্গা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। (https://bit.ly/2o0r6gu)
গত ৬ই আগস্ট ২০১৯ তারিখে আমি এক স্ট্যাটাসে বলেছিলাম-
২০১১-১২ সালে আরএসএস’র পক্ষ থেকে যখন মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়া হয়, তখন মোদির প্রতি সমগ্র উগ্রহিন্দুদের ৩টি প্রধান দাবী ছিলো। মোদি ক্ষমতায় গেলে-
১) কাশ্মীরের বিশেষ ধারা বিলোপ করবে।
২) অভিন্ন দেওয়ানী আইন প্রবর্তন করতে হবে (৩ তালাক বিল পাশ হওয়া)
৩) রামমন্দির নির্মাণ করা।
ঐ স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম- নতুন টার্মে আসার পর গত কয়েকদিনের মধ্যে মোদি প্রথম ২টি বিষয় করে ফেলেছে। এখন শুধু বাকি ৩য় বিষয়টি। মানে বাবরি মসজিদের স্থানে চূড়ান্ত রামমন্দির নির্মাণ । কিন্তু সেটা করতে গেলে ভারত জুড়ে বড় ধরনের দাঙ্গা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। (https://bit.ly/2o0r6gu)
আমার ঐ স্ট্যাটাস দেয়ার ৭২ দিন মধ্যে কমলেশ তিওয়ারি মারা গেলো। আমার সেই অ্যানালাইসিস ধরে বলতেই হচ্ছে, পুরো ঘটনা সাজানো হয়েছে রামমন্দির নির্মাণকে বেগবান করতে, যা ভারতকে ঠেলে দিচ্ছে ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার দিকে।