১. হিন্দু ছেলের আইডি হ্যাক হলে কি মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো বৈধ হয়ে যায় ?
২. পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ব্রাশ ফায়ার করেছে, কিন্তু পুলিশ কি এটা প্রমাণ করতে পারবে, যে ৪ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছে তারা সবাই পুলিশকে মারতে এসেছিলো ?
৩. ধরে নিলাম, ভোলাতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ হামলা করছিলো। কিন্তু ২০১৭ সালে রংপুরে তো পুলিশের উপর হামলা হয় নাই, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে মুসল্লীদের হত্যা করেছিলো। ২০১৬ সালে সিলেটে ইসকনীদের হয়ে মুসল্লীদের উপর গুলি বর্ষণ করেছিলো পুলিশ। কেন গেন্ডারিয়াতে ২০১৬ সালে মন্দিরের কাছাকাছি হওয়ায় মসজিদ নির্মাণে বাধা দিয়েছিলো পুলিশ ? পুলিশ কেন ইসলাম ও মুসলমানের উপর ক্ষ্যাপা ?
৪. পুলিশ তো স্টেজে আলোচকদের সাথে ছিলো। মাইকে আলোচনাও করেছিলো। কিন্তু হঠাৎ পুলিশ কি করলো, যে তাদেরকে মাদ্রাসার ভেতরে লুকাতে হলো ? এক হাতে তো তালি বাজে না। পুলিশের পক্ষ থেকে উস্কানি ছিলো নাকি সেটার তদন্ত করতে হবে।
৫. আজকে যদি মুসলিম না হয় হিন্দুদের অনুষ্ঠান হতো ? তাহলে নিশ্চিত পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে সেই অনুষ্ঠান করিয়ে দিতো। কিন্তু মুসলমান হলেই এত তুচ্ছ তাচ্ছিলো করে কেন পুলিশ ? কেন তাদের পাখির মত গুলি করতে হাত কাপে না ??
ছাগল নাচে খুটির জোরে। ফিল্ডে যে পুলিশ মুসলমানের উপর ক্ষ্যাপা, বুঝতে হবে উপরে সেই পুলিশকে যারা দিক নির্দেশনা দিচ্ছে তারাও মুসলমানদের উপর ক্ষ্যাপা। আরো সহজভাষায় বললে- দুই-চার শ’ মুসলমানকের গুলি করে শোয়ায় দিলে তাদের কিছু হবে না, এতটুকু নিশ্চয়তা তাদের দেয়া আছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে পুলিশ বিদ্বেষী নই। আমি বিশ্বাস করি সব পুলিশ খারাপ না। পুলিশের মধ্যে অনেক ভালো পুলিশ আছে। দায়িত্ব পালনে অনেক পুলিশকে অনেক কষ্ট করতে দেখে আমার পুলিশের প্রতি মায়া হয়। কিন্তু পুলিশের মধ্যে একটা প্রভাবশালী মহল অবশ্যই আছে, যারা ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী। সেটা হিন্দুও হতে পারে, আবার মুসলিম ঘর থেকে এসেছে এমনও আছে। বুয়েটে যেমন কিছু নামধারী মুসলমান ছাত্রলীগ কর্মী আছে, পূজায় যায় আর হিন্দুর পরামর্শে মুসলমানকে পিটিয়ে মারে, ঠিক তেমনি পুলিশের মধ্যেও এমন আছে, যারা নামে মুসলিম, কিন্তু বাস্তবে হিন্দুবাদী। যারা হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বাচাতে জান-প্রাণ দিতে পারে, অপরদিকে মুসলমানদের তাদের কাছে পোকামাকড়ের মত মূল্যহীন মনে হয়।
শুধু “প্রাণ বাচাতে, গুলি ছুড়েছি”, এই টুকু বলেই পুলিশ সুপার সরকার কায়সারগং পার পাবে না। এক হাতে তালি বাজে না। নিশ্চয়ই তারা উস্কানি সৃষ্টি করেছিলো, নয়ত জনতা তাদের উপর ক্ষেপবে কেন?
পুলিশের পক্ষ থেকে ছড়ানো হচ্ছে, নিহতের দুই জনের মাছা ভোতা কিছু দিয়ে থেতলানো ছিলো। নিহতের ৪ জনের ছবি আমার কাছে আছে, এ ধরনের কিছু লাশের ছবিতে নেই। কিন্তু এই ধরনের আজগুবি তথ্য প্রচার করে পুলিশ আসলে স্পষ্ট জনমনে বিভ্রান্তি তৈরী করতে চাইছে যে তারা হতাহতের জন্য দায়ী নয়, অন্যকেউ দায়ী। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ।
মূল কথা- শুধু মুখের কথা দিয়ে ৪ জন নিহত এবং ১০০ জন লোককে আহত করে পার পেতে পারে না পুলিশ। এ ব্যাপারে পুলিশের শক্ত জবাবদিহি ও অপরাধ প্রমাণিত হলে বিচার হওয়া উচিত। এই সব ব্যাপারে পুলিশকে যদি জবাবদিহিতার মধ্যে না আনা যায়, তবে জনগণ-পুলিশ দ্বন্দ্বে দেশে আইন শৃঙ্খলার অবনতি শিঘ্রই
চরম আকার ধারণ করবে, এটা বলা যায় নিশ্চিত।
চরম আকার ধারণ করবে, এটা বলা যায় নিশ্চিত।
পাশাপাশি, শেখ হাসিনার বক্তব্য হলো-
“ভোলার ঘটনায় একদল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়”।
তারমানে শেখ হাসিনার কাছে তথ্য আছে, এই ঘটনার আড়ালে কেউ সুবিধা নিতে চেয়েছে।
তাই শেখ হাসিনাকে স্পষ্ট করতে হবে- কে শিকার করতে চায় এবং কী শিকার করতে চায়।
কারণ ঘটনার পাশের এলাকা হলো এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এলাকা্।
যে শাওন এতদিন শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক ছিলেন এবং যাকে গতকালকেই যুবলীগের কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে শেখ হাসিনা। এছাড়া মৃত ৪ জনের মধ্যে ১ জন স্থানীয় যুবলীগ নেতার ভাইও আছে।
তাহলে কথা হলো- কে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছে, তাকেও ধরতে হবে।
কত উপর থেকে নির্দেশনা আসছে, সেটা সরকার-প্রশাসনের কাছে ধরা ওয়ান-টুর ব্যাপার মাত্র।
যদি যুবলীগের কেন্দ্র থেকে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তবে তাকেও ধরা হোক।
কারণ গুলি করে হতাহত করা হয়েছে সাধারণ জনগণকে, তাই তাদের অধিকার আছে, কে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে তাদের চেনার এবং বিচার দেখার।
শুধু মুসলমানদের দোষ দিয়ে আপনারা সাধু-সন্নাসী সাজবেন, তা হবে না।
“ভোলার ঘটনায় একদল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়”।
তারমানে শেখ হাসিনার কাছে তথ্য আছে, এই ঘটনার আড়ালে কেউ সুবিধা নিতে চেয়েছে।
তাই শেখ হাসিনাকে স্পষ্ট করতে হবে- কে শিকার করতে চায় এবং কী শিকার করতে চায়।
কারণ ঘটনার পাশের এলাকা হলো এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এলাকা্।
যে শাওন এতদিন শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক ছিলেন এবং যাকে গতকালকেই যুবলীগের কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে শেখ হাসিনা। এছাড়া মৃত ৪ জনের মধ্যে ১ জন স্থানীয় যুবলীগ নেতার ভাইও আছে।
তাহলে কথা হলো- কে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছে, তাকেও ধরতে হবে।
কত উপর থেকে নির্দেশনা আসছে, সেটা সরকার-প্রশাসনের কাছে ধরা ওয়ান-টুর ব্যাপার মাত্র।
যদি যুবলীগের কেন্দ্র থেকে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তবে তাকেও ধরা হোক।
কারণ গুলি করে হতাহত করা হয়েছে সাধারণ জনগণকে, তাই তাদের অধিকার আছে, কে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে তাদের চেনার এবং বিচার দেখার।
শুধু মুসলমানদের দোষ দিয়ে আপনারা সাধু-সন্নাসী সাজবেন, তা হবে না।