আমেরিকাকে সবাই সুপার পাওয়ার বলে,
তবে আমেরিকা কিভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে এত শক্তিশালী হলো, এটা স্ট্যাডি করার দরকার আছে।
আপনি যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে শক্তিশালী হতে চান, তবে আপনিও আমেরিকাকে অনুসরণ করতে পারেন।
বর্তমানে অনেকেই ট্রাম্প বা তার রিপাবলিকানদের খারাপ বলে, তাদের উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে।
তবে আমেরিকা কিভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে এত শক্তিশালী হলো, এটা স্ট্যাডি করার দরকার আছে।
আপনি যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে শক্তিশালী হতে চান, তবে আপনিও আমেরিকাকে অনুসরণ করতে পারেন।
বর্তমানে অনেকেই ট্রাম্প বা তার রিপাবলিকানদের খারাপ বলে, তাদের উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো- আমেরিকা যে শক্তিশালী হয়েছে- তা কিন্তু হয়েছে তার এই উগ্র জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের কারণে।
মার্কিন শাসকদের ২৩০ বছরের পর্যালোচনা করলে দেখতে পারবেন দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষমতা ছিলো রাজনৈতিকভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের দখলে। এবং আমেরিকা যে যে বিষয়গুলো দিয়ে বর্তমানে বিশ্বে ক্ষমতাধর হয়েছে (বিশেষ করে ডলার) সেটাও গড়ে দিয়েছে এই জাতীয়তাবাদীরা।
মার্কিন শাসকদের ২৩০ বছরের পর্যালোচনা করলে দেখতে পারবেন দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষমতা ছিলো রাজনৈতিকভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের দখলে। এবং আমেরিকা যে যে বিষয়গুলো দিয়ে বর্তমানে বিশ্বে ক্ষমতাধর হয়েছে (বিশেষ করে ডলার) সেটাও গড়ে দিয়েছে এই জাতীয়তাবাদীরা।
হ্যা হয়ত মাঝে মাঝে কিছু ডেমোক্র্যাাটিক বা দৃশ্যতঃ উদারপন্থী ক্ষমতায় আসে। কিন্তু সেটাও বিশেষ কারণে-
১) উগ্র জাতীয়তাবাদীরা যে যুদ্ধ বিগ্রহ ও নির্যাতন চালিয়েছে সেটা ব্যালেন্স করার জন্য। জনগণকে ঠাণ্ডা করার জন্য।
২) উদার সাজার মাধ্যমে বন্ধু বানিয়ে নতুন নতুন মানুষের মধ্যে প্রবেশ করা যায় এবং সম্পর্ক বিস্তৃতি করা যায়। পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদীরা আবার অস্ত্রের জোরে সেই বন্ধুকেই ধরাশায়ী করে।
৩) রিপাবলিকান বা জাতীয়তাবাদীদের বৈশিষ্ট্য্, তারা অস্ত্রের জোরে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং একইসাথে অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালায়। অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা যেটা করে, সেটা হলো ঠাণ্ডা মাথায় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। দুটোই ক্ষমতা বিস্তারে দুই পলিসি, যা একটি অপরটির পরিপূরক।
১) উগ্র জাতীয়তাবাদীরা যে যুদ্ধ বিগ্রহ ও নির্যাতন চালিয়েছে সেটা ব্যালেন্স করার জন্য। জনগণকে ঠাণ্ডা করার জন্য।
২) উদার সাজার মাধ্যমে বন্ধু বানিয়ে নতুন নতুন মানুষের মধ্যে প্রবেশ করা যায় এবং সম্পর্ক বিস্তৃতি করা যায়। পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদীরা আবার অস্ত্রের জোরে সেই বন্ধুকেই ধরাশায়ী করে।
৩) রিপাবলিকান বা জাতীয়তাবাদীদের বৈশিষ্ট্য্, তারা অস্ত্রের জোরে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং একইসাথে অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালায়। অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা যেটা করে, সেটা হলো ঠাণ্ডা মাথায় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। দুটোই ক্ষমতা বিস্তারে দুই পলিসি, যা একটি অপরটির পরিপূরক।
সমস্যা হলো- আমরা যখন আমাদের দেশের উন্নতির কথা বলি, তখন আমেরিকার উদারপন্থীর উদাহরণ নিয়ে আসি। কিন্তু যে রিপাবলিকান বা উগ্রজাতীয়তাবাদীদের দ্বারা আমেরিকা তার প্রকৃত ক্ষমতা স্থায়ী করলো তার উদাহরণ আনি না, সেটা অনুসরণও করি না।
আরেকটা বিষয়- কেউ যখন প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতাবান হয়ে যাবে, তখন যদি সে বাহ্যিক উদার সাজে তবে কিন্তু সমস্যা নাই। এতে কিন্তু তার ক্ষমতা যাচ্ছে না, বরং তার প্রচার হচ্ছে- “আহ এত ক্ষমতাবান লোক, কত উদার।” কিন্তু সে যে এতদিন জাতীয়তাবাদী হয়ে প্রথমে ক্ষমতাবান হয়েছে, সেটা কিন্তু সবাই ভুলে যাচ্ছে।
কথা হলো- আপনি যদি তার উপরে ওঠার পলিসি বাদ দিয়ে সে যে এখন্ উদার সেজেছে, সেটাকে অনুসরণ করেন, তবে কিন্তু কখনই তার মত বড় হতে পারবেন না। সারা জীবন ঐ ক্ষমতাবানকে অনুসরণ করেই যেতে হবে। আর যার কাছে ক্ষমতা আছে, তার বাহ্যিক উদারতার দিকেই সবাই লক্ষ্য রাখবে, তাকে হুজুর হুজুর করবে, এটাই স্বাভাবিক।
আরেকটা বিষয়- কেউ যখন প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতাবান হয়ে যাবে, তখন যদি সে বাহ্যিক উদার সাজে তবে কিন্তু সমস্যা নাই। এতে কিন্তু তার ক্ষমতা যাচ্ছে না, বরং তার প্রচার হচ্ছে- “আহ এত ক্ষমতাবান লোক, কত উদার।” কিন্তু সে যে এতদিন জাতীয়তাবাদী হয়ে প্রথমে ক্ষমতাবান হয়েছে, সেটা কিন্তু সবাই ভুলে যাচ্ছে।
কথা হলো- আপনি যদি তার উপরে ওঠার পলিসি বাদ দিয়ে সে যে এখন্ উদার সেজেছে, সেটাকে অনুসরণ করেন, তবে কিন্তু কখনই তার মত বড় হতে পারবেন না। সারা জীবন ঐ ক্ষমতাবানকে অনুসরণ করেই যেতে হবে। আর যার কাছে ক্ষমতা আছে, তার বাহ্যিক উদারতার দিকেই সবাই লক্ষ্য রাখবে, তাকে হুজুর হুজুর করবে, এটাই স্বাভাবিক।
আরেকটি বিষয়, আপনার ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ এবং রাষ্ট্রীয় জাতীয়তাবাদ একই হতে হবে, দুইটার মধ্যে কোন বিভেদ চলবে না। কোন জাতিকে এক করতে এটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। এর মধ্যে বিভেদ হওয়া মানেই জাতি বিভেদ হয়ে যাওয়া, আর আপনার জাতি কোন উন্নতি করতে পারবে না। আপনার শত্রু চাইবে, আপনার রাষ্ট্রীয় জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঘটিয়ে আপনার জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত করে দিতে। কিন্তু সেটা হতে দেয়া চলবে না। যেটা ধর্মীয় চেতনা, সেটাই রাষ্ট্রীয় চেতনা করতে হবে। এতে জাতি এক হয়ে দ্রুত উন্নতি করবে নিশ্চিত।
শেষ যে বিষয়টি গ্রুত্বপূর্ণ, সেটা হলো ‘সংখ্যালঘু’ টার্মের ব্যবহার। সংখ্যালঘু টার্মটা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটরা ব্যবহার করে। এটা বাদ দিতে হবে। রিপাবলিকানরা যেটা ব্যবহার করে ইমিগ্র্যান্ট বা ভারতে রিপাবলিকানরা ব্যবহার করে বহিরাগত বা অনুপ্রবেশকারী। অর্থাৎ আমার দেশের মূল জনসংখ্যা ৯৫% যদি এক মতাবলম্বী হয়, তবে তারাই হবে আসল জনগন। আর ৫% যারা অন্য মতাবলম্বী তাদেরকে অতিরিক্ত হিসেবে কাউন্ট করতে হবে। এর মানে এই নয় তাদের মেরে ফেলতে হবে। তারা দেশেই থাকবে, কিন্তু তাদের কোন মতবাদ বা পলিসি বা অস্তিত্ব মেইন ৯৫% জনগোষ্ঠীর মধ্যে আনা যাবে না, আনলেই ৯৫% জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ দেখা দিবে, আর তখন বিভক্ত জাতি উন্নতি করা তো দূরের কথা আরো উল্টো অবনতি হবে।