কেন জনগণের খরচ বাড়ছে ?
দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রাব্যয় প্রতি মুহুর্তে বাড়তেই আছে। এর পেছণে অনেকে অনেক কারণ বর্ণনা করতে পারে। কেউ বলছে গুজব, কেউ বলছে দুর্নীতি, কেউ বলছে সিন্ডিকেট, কেউবা বলছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে খরচ বাড়ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- মূল সমস্যাটা আসলে অথনৈতিক সিস্টেমের মধ্যে, যাকে আমরা বলছি সম্রাজ্যবাদীদের কর্পোরেটোক্রেসি সমর্থিত অর্থনৈতিক পলিসি। এবং এই সিস্টেমের অংশ হিসেবেই আসলে খরচ বাড়ছে। অর্থাৎ সরকার যে অর্থনৈতিক সিস্টেম গ্রহণ করেছে, এর মধ্যে গলদ এবং এই সিস্টেমের মধ্যে প্রতিনিয়ত খরচ বাড়তেই থাকবে, এর কোন বিকল্প নাই।
এ সিস্টেমের কী পয়েন্ট হলো-
দেশী উৎপাদনশীল খাতের দিকে নজর না দিয়ে বিদেশী উৎপাদকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন স্থাপনা গড়তে সমস্ত সম্পদ ব্যয় করা। এতে-
প্রথমত, দেশী উৎপাদনশীল খাতের পতন হবে (কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য),
দ্বিতীয়ত, সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে,
তৃতীয়ত, বিদেশী উৎপাদকদের (কর্পোরেটদের) আগমণের মাধ্যমে তারা স্বল্পমূল্যে শ্রম কিনবে এবং সম্পদ লুণ্ঠন করবে।
দেশী উৎপাদনশীল খাতের দিকে নজর না দিয়ে বিদেশী উৎপাদকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন স্থাপনা গড়তে সমস্ত সম্পদ ব্যয় করা। এতে-
প্রথমত, দেশী উৎপাদনশীল খাতের পতন হবে (কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য),
দ্বিতীয়ত, সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে,
তৃতীয়ত, বিদেশী উৎপাদকদের (কর্পোরেটদের) আগমণের মাধ্যমে তারা স্বল্পমূল্যে শ্রম কিনবে এবং সম্পদ লুণ্ঠন করবে।
সম্প্রতি একটা খবরে দেখলাম-
সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষের ঘোষণা দিয়েছে। এর সময়কাল ছিলো ২০০৯ থেকে ২০১৯। এবার সরকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে তোলার দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু। যার সময়কার ২০২০-২০৪১, এর মধ্যে অধিকাংশ ৪-৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। (https://bit.ly/2KT5ue6)
সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষের ঘোষণা দিয়েছে। এর সময়কাল ছিলো ২০০৯ থেকে ২০১৯। এবার সরকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে তোলার দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু। যার সময়কার ২০২০-২০৪১, এর মধ্যে অধিকাংশ ৪-৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। (https://bit.ly/2KT5ue6)
আমার অ্যানালাইসিস পাওয়ারে বলছে, সরকার এতদিন সফট কর্পোরেটোক্রেসি বাস্তবায়নে ছিলো।
এখন সরকার হার্ডলাইনে যাবে। আর হার্ডলাইনে যাওয়া মানে জনগণের খরচ হু হু করে বাড়া এবং একটা সময় নিয়ন্ত্রনের বাইরে গিয়ে কৃত্তিম দুভিক্ষ তৈরী করবে। সরকার যদি তাদের সিস্টেমে পরিবর্তন না আনতে পারে, তবে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ এড়ানোর কোন উপায় দেখতে পারছি না।
এখন সরকার হার্ডলাইনে যাবে। আর হার্ডলাইনে যাওয়া মানে জনগণের খরচ হু হু করে বাড়া এবং একটা সময় নিয়ন্ত্রনের বাইরে গিয়ে কৃত্তিম দুভিক্ষ তৈরী করবে। সরকার যদি তাদের সিস্টেমে পরিবর্তন না আনতে পারে, তবে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ এড়ানোর কোন উপায় দেখতে পারছি না।