২০১৬ সালে নাসিরনগরের ঘটনার পর সরকার হিন্দুদের পক্ষে কাজ করে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ ধরপাকড় করে। এর কারণ ছিলো তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইটারে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনকে বলেছিলো নাসিরনগরের হিন্দুদের পক্ষে শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ করতে। (https://bit.ly/342Ewbo)
একইভাবে ২০১৭ সালে রংপুরের ঘটনায় সরকার হিন্দুদের পক্ষে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত অবস্থানে যায়। এর কারণও ভারতীয় হাইকমিশনের যোগাযোগ, যা সুষমা স্বরাজ নিজ মুখে স্বীকার করে। (https://bbc.in/2WccUOa)
কথা হলো- এইবার ভোলার ঘটনার পর হিন্দুদের পক্ষ নিতে সরকারের উপর ভারতের কোন প্রেসার আসছে কি ?
আজকে সবাই নিশ্চয়ই খবর দেখেছেন- আনন্দবাজার পত্রিকায় একটা খবর এসেছে, যার শিরোনাম-“বাংলাদেশের ইসকন মন্দিরে লোন উল্ফ কায়দায় জঙ্গি হানার ছক! ভারতীয় গোয়েন্দারা সতর্ক করল ঢাকাকেও”। (https://bit.ly/2N8nbH4)
এই খবরের মর্মার্থ আসলে জঙ্গী হামলা-টামলা কিছু না। এই খবর আসলে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের জন্য এক প্রকার নির্দেশনা বা মেসেজ। মেসেজটা হলো-
“যারা ইসকন বা হিন্দুদের বিরুদ্ধে কিছু বলবে বা করবে তাদের জঙ্গী হিসেবে ট্রিট করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন। পাশাপাশি ইসকন ও হিন্দুদেরকে সর্বরূপ সহায়তা ও পক্ষাবলম্বন করুন।”
“যারা ইসকন বা হিন্দুদের বিরুদ্ধে কিছু বলবে বা করবে তাদের জঙ্গী হিসেবে ট্রিট করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন। পাশাপাশি ইসকন ও হিন্দুদেরকে সর্বরূপ সহায়তা ও পক্ষাবলম্বন করুন।”
যেহেতু নাসিরনগর, রংপুর বা ভোলার ঘটনা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, সেহেতু এখানে ভারত সরকারের নাক গলানোর কিছু ছিলো না। কিন্তু ভারত যেহেতু সেখানে নাক গলাচ্ছে, তা থেকে বোঝা যায় এই ঘটনার পেছনে তাদের ইন্ধন ও আগ্রাসী স্বার্থ অবশ্যই আছে। তাই বাংলাদেশের হিন্দুত্ববাদীদের যে কোন কার্যক্রমকেই ভারতীয় আগ্রাসন হিসেবেই দেখা উচিত। মনে রাখতে হবে- বর্তমান ভারত সরকার হিন্দুত্ববাদী সরকার। তাদের আগ্রাসন বাংলাদেশে প্রবেশ করলে একটা বড় অংশ হিন্দুত্ববাদী হিসেবেই করবে।