রংপুর থেকে ভোলা, টিটু রায় থেকে বিপ্লব চন্দ্র
কার লাভ, কার ক্ষতি- আসুন হিসেব মিলিয়ে নেই
কার লাভ, কার ক্ষতি- আসুন হিসেব মিলিয়ে নেই
রংপুর থেকে ভোলা, টিটু রায় থেকে বিপ্লব চন্দ্র
কার লাভ, কার ক্ষতি- আসুন হিসেব মিলিয়ে নেই
কার লাভ, কার ক্ষতি- আসুন হিসেব মিলিয়ে নেই
১) ধর্ম অবমাননা-
রংপুর: ২০১৭ সালে টিটু রায়ের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননা ।
ভোলা : ২০১৯ সালে বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননা।
২) পুলিশের আচরণ-
রংপুর : প্রতিবাদী জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ। নিহত ১ মতান্তরে ৬। আহত শতাধিক। (https://youtu.be/aJ_9tgWX5Gg)
ভোলা: জনতার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের উস্কানিমূলক আচরণ, অতঃপর জনতার আক্রমনের মুখে গুলিতে নিহত ৪, আহত শতাধিক।
৩) আইডি হ্যাক হয়েছে বলে প্রচার করা-
রংপুর : প্রচার করা হয়, টিটু রায় নিরক্ষর, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হহছিলো (https://bit.ly/2AxbAsX) । হ্যাকারের নাম আল আমিন, অথবা মাওলানা হামিদি ইত্যাদি । যদি গ্রেফতার হওয়ার টিটু রায় আদালতে দাড়িয়ে স্বীকার করে সেই অবমাননাকর স্ট্যাটাসটি সেই দিয়েছিলো। (https://bit.ly/35WUJjV, https://bit.ly/31D08sU)
ভোলা: হতাহতের ঘটনার ছড়িয়ে দেয়া হয় বিপ্লব সেই স্ট্যাটাস দেয়নি। স্ট্যাটাস দিয়েছে শরীফ ও ইমন নামে দুইজন। পুলিশ তাদেরকে ঘটনার ৩৬ ঘন্টা আগে গ্রেফতার করলেও কেন হতাহতের পর তাদের নাম প্রকাশ করলো না, সেটাই আশ্চার্য। আবার দৈনিক সমকাল পুলিশের রেফারেন্স দিয়েই বলছে, ইমন ও শরীফ যে হ্যাকিং করেছে, সে ব্যাপারে তারা শিওর নয়। (https://bit.ly/2o7vCd8)
৪) হিন্দু বাড়িতে রহস্যজনক ভাংচুর ও আগুন-
রংপুর-পুলিশ আর জনতার মারামারি যখন শেষ তখন কে বা কারা হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়। এটার ছবি নিয়ে খবর রটে যায়- “ফেসবুকে ভুয়া স্ট্যাটাসের জের ধরে হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে”। ঐ বাড়ির হিন্দুরা ক্যামেরার সামনে পোজ দেয়, কান্নাকাটি করে। তাদের বাড়ির নতুন চাল আসে, লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান আসে। পুরাতন বেড়ার ঘরের বদলে নতুন পাকা দালান ওঠে। (https://bit.ly/2IBD5bi)
অথচ- ঘটনার পর একটি ভিডিওতে ফাঁস হয়, হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। (https://youtu.be/r_vG8uazMK4 - মুসলমানদের মিছিল ছিলো অন্য এলাকায় বা সেখানে ছিলো না। হিন্দুদের বাড়িছিলো রাস্তার ভেতরে। রাস্তার মাথায় পুলিশ পাহাড়া ছিলো। কিন্তু হঠাৎ কে যেন তাদের বাড়িগুলোতে আগুন দিলো। পুলিশি পাহাড়া ক্রস করে সেখানে তো মুসলিমরা আসে নাই। পুলিশ গেছে ভিতরে দেখতে, দেখে হিন্দুদের কিছু গোয়াল ঘরে কে যেন আগুন দিছে। হিন্দুরা চুপচাপ দাড়িয়ে রয়েছে। ঐ সময় মুসলমানরা যদি পেছন দিয়ে আগুন দিতো, তবে হয় হিন্দুরা পুলিশ ডেকে নিয়ে আসতো, অথবা এলাকা ছেড়ে পালাতো। এ কারণে একজন পুলিশ সদস্য বিষয়টি বুঝতে পেরে বলেছে- কি ব্যাপার আপনারা নিজেদের ঘরে আগুন দিলেন কেন ? যে কথাটা শোনা গেছে সাউন্ডে।
রংপুর-পুলিশ আর জনতার মারামারি যখন শেষ তখন কে বা কারা হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়। এটার ছবি নিয়ে খবর রটে যায়- “ফেসবুকে ভুয়া স্ট্যাটাসের জের ধরে হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে”। ঐ বাড়ির হিন্দুরা ক্যামেরার সামনে পোজ দেয়, কান্নাকাটি করে। তাদের বাড়ির নতুন চাল আসে, লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান আসে। পুরাতন বেড়ার ঘরের বদলে নতুন পাকা দালান ওঠে। (https://bit.ly/2IBD5bi)
অথচ- ঘটনার পর একটি ভিডিওতে ফাঁস হয়, হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। (https://youtu.be/r_vG8uazMK4 - মুসলমানদের মিছিল ছিলো অন্য এলাকায় বা সেখানে ছিলো না। হিন্দুদের বাড়িছিলো রাস্তার ভেতরে। রাস্তার মাথায় পুলিশ পাহাড়া ছিলো। কিন্তু হঠাৎ কে যেন তাদের বাড়িগুলোতে আগুন দিলো। পুলিশি পাহাড়া ক্রস করে সেখানে তো মুসলিমরা আসে নাই। পুলিশ গেছে ভিতরে দেখতে, দেখে হিন্দুদের কিছু গোয়াল ঘরে কে যেন আগুন দিছে। হিন্দুরা চুপচাপ দাড়িয়ে রয়েছে। ঐ সময় মুসলমানরা যদি পেছন দিয়ে আগুন দিতো, তবে হয় হিন্দুরা পুলিশ ডেকে নিয়ে আসতো, অথবা এলাকা ছেড়ে পালাতো। এ কারণে একজন পুলিশ সদস্য বিষয়টি বুঝতে পেরে বলেছে- কি ব্যাপার আপনারা নিজেদের ঘরে আগুন দিলেন কেন ? যে কথাটা শোনা গেছে সাউন্ডে।
ভোলা: পুলিশ-জনতার সংঘর্ষের পর যখন রক্তারক্তি অবস্থা তখন হঠাৎ হিন্দুরা দাবী করে বসলো- জনতা নাকি তাদের বাড়িতে মিছিল নিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। বাড়িঘর লুটপাট করেছে। মিডিয়া সামনে হিন্দু নারীরা চোখের পানি নাকের পানি একাকার করলো (https://bit.ly/2JcH2nj)।
অথচ সাধারণ জনতার উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে শতাধিক হতাহতের কারণে নিহত ও আহতের নিয়ে সবাই ব্যস্ত ছিলো। কিভাবে আহতের রক্ত দিতে হবে সেই ব্যবস্থা করছিলো। কিন্তু সে মুহুর্তে হিন্দু বাড়িতে জনতা হামলা করেছে, এটা বানোয়াট কি না, সেটা খতিয়ে দেখলে বের হয়ে যাবে।
অথচ সাধারণ জনতার উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে শতাধিক হতাহতের কারণে নিহত ও আহতের নিয়ে সবাই ব্যস্ত ছিলো। কিভাবে আহতের রক্ত দিতে হবে সেই ব্যবস্থা করছিলো। কিন্তু সে মুহুর্তে হিন্দু বাড়িতে জনতা হামলা করেছে, এটা বানোয়াট কি না, সেটা খতিয়ে দেখলে বের হয়ে যাবে।
৫) মামলা-
রংপুর- ঘটনার পর অজ্ঞতানামা ২ হাজার লোককে আসামী করে পুলিশের মামলা। ২০ হাজার মুসলিম পুরুষ বাড়ি ছাড়া।
ভোলা : ঘটনার পর অজ্ঞতানামা ৫ হাজার লোককে আসামী করে মামলা পুলিশের।
৬) ফেসবুকে প্রতিবাদকারীদের গ্র্রেফতার-
রংপুর- ঘটনার পর ফেসবুকে প্রতিবাদকারীদের দমন করতে গণহারে গ্রেফতার শুরু করে পুলিশ।
ভোলা- বর্তমানে ফেসবুকে প্রতিবাদের কারণে কিভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে তা সবার জানার কথা।
ভোলা- বর্তমানে ফেসবুকে প্রতিবাদের কারণে কিভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে তা সবার জানার কথা।
৭) ভারতের সন্তুষ্টি প্রকাশ-
রংপুর – ঘটনা নিয়ে সরকার মুসলামানদের প্রতি যে ধরপাকড় করেছে এবং হিন্দুদের খুশি করে দেবে বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সংসদে দাড়িয়ে বক্তব্য দেয় তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। (https://bbc.in/35VuB9c)
ভোলা- ভারতের সন্তুষ্টি প্রকাশের বিবৃতির আশায় এখনও সরকার মুসলিম জনতার বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে আছে।