পেয়াজের দাম বৃদ্ধি করা এবং বিনাশুল্কে আমদানির আড়লে একটি গোষ্ঠীর টাকা পাচার জড়িত। এন.সি-৪৬

Related image
খবর ও মন্তব্য-
১) যমুনা টিভির রিপোর্ট: পেয়াজের দাম বৃদ্ধি করা এবং বিনাশুল্কে আমদানির আড়লে একটি গোষ্ঠীর টাকা পাচার জড়িত। (https://bit.ly/2RfcCFX)
মন্তব্য: যে কথাটা আমার পেইজে ২ মাস আগে (৩০শে সেপ্টেম্বর) বলা হইছে, সেটা এতদিন পর মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় আসলো !
২) সময় টিভির রিপোর্ট: কোল্ডস্টোরেজের তৈরীর মাধ্যমে বাংলাদেশের পেয়াজের সমস্যা দূর করা সম্ভব। (https://bit.ly/2Yb4xTZ)
মন্তব্য: এটাও আমার পেইজে ২ মাস আগে বলছি, যা এতদিনে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে আসা শুরু হইছে।
৩) বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেছে, “শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্ভাবনা আছে। সে দেশের পোশাক খাত ও বাংলাদেশের পোশাক খাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। উচ্চমূল্যের পোশাক বাংলাদেশে তৈরি হয়ে শ্রীলঙ্কায় ফিনিশিংয়ের কাজ হবে, এতে রপ্তানি বাড়বে। ” (https://bit.ly/2OE9JNa)
মন্তব্য: এখানে প্রথমে যে কথাটা বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিআই এর সভাপতি করা হয়েছে শেখ সেলিমের ছেলে ফজলে ফাহিমকে। কিছুদিন আগে যুবলীগের যে ঘটনাগুলো ঘটলো তার মুল কিন্তু ছিলো শেখ হাসিনা ও শেখ সেলিমের দ্বন্দ্ব। শেখ হাসিনা তাই নিজের দল বা সরকারকে বাচাতে যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার মত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে শেখ সেলিমের প্যানেলের লোকদের বাদ দিয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনা তার দল বা সরকারকে বাচাতে যদি শেখ সেলিমের প্যানেলের লোক বাদ দিতে পারেন, তাহলে ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রধান হিসেবে কিভাবে শেখ সেলিমের ছেলেকে প্রধান দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে পারেন?
আরেকটি কথা- ব্যবসা আর জুয়া কিন্তু এক নয়। একজন স্ম্যাগলার, ক্যাসিনো-জুয়া ব্যবসায়ীর ছেলে যখন দেশের সকল ব্যবসায়ীদের নেতা হবে, তখন সব ব্যবসা তো সেই জুয়ার মত ‘লাল ভেল্কি লাগে’ চলে যাবে, এবং সেটাই দেখা যাচ্ছে।
খবরে শেখ ফজলে ফাহিম যে উক্তিটি করেছে, আমার জানা নেই এতে ভালো হবে না মন্দ হবে। তবে এফবিসিআই এর মত একটি সংগঠনের নেতার কোন সিদ্ধান্ত/বক্তব্যে বাংলাদেশের সকল ব্যবসায়ী লাভবান হয় নাকি ঐ নেতা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছে এটা একটু খতিয়ে নেয়ার দরকার। কারণ কিছুদিন আগেই অনুমান করা গেছে, শ্রীলংকার সাথে ফজলে ফাহিমের বোনের পরিবার কোনভাবে ব্যবসায় জড়িত, যারা সেখানে গিয়ে বোমা হামলার শিকার হয়েছে। এবং ফাহিমের ভাগ্নে মারা গেছে এবং বোন জামাই গুরুতর আহত হয়েছে। লক্ষণীয় হচ্ছে, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধান হয়ে শেখ ফজলে ফাহিম এমন কোন ডিসিশন নিচ্ছেন কি না, যা দ্বারা সে বা তার পরিবারের ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট আছে, অভিজ্ঞরা বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখবেন এবং নিয়মিত নজর রাখবেন।
৪) খবর: মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের কবলে জিম্বাবুয়ের ৮ মিলিয়ন মানুষ
ভেতরে- রাজনৈতিক অস্থিরতা,শিল্প কারখানার অব্যবস্হাপনা, খাদ্য সংকট, মুদ্রাস্ফীতি ও চরম দুর্নীতির মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে অধঃ:পতন হয়েছে। যে কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ে ‘মানবসৃষ্ট’ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে ৮ মিলিয়ন মানুষ।বর্তমানে সরকার প্রাথমিক খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। (https://bit.ly/35N5GUc)
মন্তব্য: শেখা ও জানার অনেক কিছু আছে।
৫) সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে কমিটি - অর্থমন্ত্রী
(https://bit.ly/2P52EUy)
মন্তব্য: প্রস্তবনা তো ভালো। কিন্তু সুদের হার দুই অংকে উঠলো কিভাবে ?
প্রত্যেকটা জিনিসের ভ্যালু নির্ভর করে সাপ্লাই ডিমান্ডের উপর।
ঋণের নেয়ার ব্যাপক চাহিদার কারণেই সুদের হার এই উচ্চ অবস্থায় পৌছেছে।
এবং এর জন্য দায়ী সরকার। কারণ সরকারই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তার চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে, সুদকে উচ্চ করে ফেলেছে। মূলতঃ সরকার ফ্লাইওভার-সেতু আর বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাতে সব টাকা খরচ করে ফেলেছে, এ অবস্থায় সরকারের হাতে আর টাকা থাকেছে না। অন্যদিকে সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন করেছে টাকাও লাগছে প্রচুর। এ অবস্থায় মাস শেষে বেতনের সময় হলে সরকার একবার এই ব্যাংক থেকে খাবলা দেয়, আরেকবার সেই ব্যাংক থেকে খাবলা দেয়। বছর শেষে এমন অবস্থায় হয়, ঋণের সুদ হয় বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের এভাবে খাবলা-খাবলির কারণে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে সুদের হার এমন উচ্চ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় যদি অর্থমন্ত্রী বলে, সুদের হার এক অংকে নামিয়ে নিয়ে আসবো, তবে বিষয়টি হবে অনেকটা গাছের গোড়া কেটে আগায় ফল ধরার আশার মত। তবুও আমরা সেই চেষ্টায় আশবাদি…..।
৬) চিনিকল বেসরকারীকরণের সুপারিশ : কৃষি মন্ত্রনালয়
(https://bit.ly/37TNf2b)
মন্তব্য: ভালো প্রস্তাব। এতে দুর্নীতি কমবে। কিন্তু বেসরকারিকরণের নাম দিয়ে যেন আবার সব চিনিকল বন্ধ না হয়ে যায়, এই খেয়ালটাও রাখতে হবে। কারণ দুর্নীতি শো করে চিনিকল বন্ধ করে বিদেশী চিনি আমদানির টার্গেট আছে সরকারপন্থী কিছু ব্যবসায়ীর, যা এর আগের অর্থমন্ত্রী ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছিলো। মূলতঃ সরকারপন্থী কিছু ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে, সেটা রিফাইন করে সাদা চিনি হিসেবে বিক্রি করে। দেশী চিনিকলগুলো অব্যাহত থাকলে তারা একচেটিয়া ব্যবসা করতে পারছে না। কিন্তু ঘটনা হলো- দেশী লাল চিনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি, অপরদিকে বিদেশ থেকে আমদানি করা সাদা চিনি ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণ, যা সারা বিশ্বের লোক জানে। এ অবস্থায় দেশী চিনিকলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সাদা চিনির একচেটিয়া মার্কেট তৈরী হবে, যা জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হবে। এ অবস্থায় চিনিকলগুলো প্রাইভেটাইজেশন হোক সমস্যা নাই। কিন্তু জনগণের মধ্যে একটা গণসচেতনতা উঠতে হবে, কেউ দেশী লাল চিনি (দেখতে একটু ময়লা) ছাড়া অন্য যে কোন চিনি খাবে না, সেটা যত ফকফকে সাদাই হোক না কেন। জনগণ বিদেশী সাদা চিনি বর্জন করে লাল বা দেশী চিনি খেতে থাকলেই দেশী চিনিকলগুলো বাচিয়ে রাখা সম্ভব।