আমার মনে হয়, ‘গণতন্ত্র মানেই জনগণের তন্ত্র’ এটা বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি কথা। সম্রাজ্যবাদীরা খুব সহজ পদ্ধতিতে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের এই ধোকার ট্যাবলেট বিশ্বের আমজনতাকে খাওয়াতে সফল হয়েছে।

যাই হোক, কথা বলবো নূর হোসেন সম্পর্কে, যে ১৯৮৭ সালে নিহত হয়েছিলো এরশাদ সরকারের পুলিশের গুলিতে।
আসলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় অনেক মানুষ, কিন্তু নূর হোসেন বেশি স্মরণীয়, কারণ তার বুকে লেখা ছিলো ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, আর পিঠে লেখা ছিলো- ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।
আসলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় অনেক মানুষ, কিন্তু নূর হোসেন বেশি স্মরণীয়, কারণ তার বুকে লেখা ছিলো ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, আর পিঠে লেখা ছিলো- ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।
এরশাদ মারা যাওয়ার পর এক স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম, এরশাদ যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক আর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সে ভালো-মন্দ যাই করুক, সে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিদেশী ব্লকগুলোর কথা ঠিক মত শুনতেছিলো না। এ কারণে তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে উঠে পড়ে লেগে যায় সব বিদেশীব্লকগুলো। এবং সে কারণে যারা সারাদিন নিজেদের মধ্যে চুলোচুূিলতে ব্যস্ত থাকে, তারাও গলায় গলায় ধরে নেমে যায় এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে।
সম্প্রতি নূর হোসেনকে জাতীয় পার্টির নেতা রাঙ্গা মাদকাসক্ত বলায় হঠাৎ করে একটি মহল ক্ষেপে উঠার কারণ- নূর হোসেন ছিলো বিদেশী ব্লকগুলোর ‘চেতনার খুটি’, যেই খুটিকে পূজি করে তারা তাদের অবাধ্য এরশাদকে নামানোর আন্দোলনকে বেগবান করেছিলো। রাঙ্গা সেই খুটি ধরে নাড়া দিয়েছে, তাই বিদেশী ব্লকগুলোর দেশীয় সদস্যদের এত হৈ চৈ।
মূল কথা হলো- গণতন্ত্র মানেই জনগণের শাসন নয়, বরং গণতন্ত্র মানেই বিদেশী ব্লকগুলোর শাসন এবং জনগণের দুধ ভাত বানিয়ে দেয়া।
তাই নূর হোসেনের বুক পিঠে প্রকৃত লেখা হওয়া উচিত – “গণতন্ত্র মুক্তি পাক, জনগণ নিপাত যাক”।