October 15, 2019 ·
অনেকে বলে, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলুন, হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বলবেন না।
যারা এ ধরনের কথা বলছেন, তাদেরকে একটা প্রশ্ন করতে চাই,
বর্তমান ভারতের ক্ষমতায় আছে কে ? তারা কোন থিউরীতে আগাচ্ছে ??
উত্তর হবে- বিজেপি, যাদের থিউরী হলো হিন্দুত্ববাদ।
কথা হলো- ভারত যদি বাংলাদেশে আগ্রাসন চালায়,তবে অবশ্যই তাদের থিউরী হবে- হিন্দুত্ববাদ।
সেটা ভারত থেকে হিন্দুত্ববাদের প্রেসার দিয়ে হোক, অথবা বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ জাগ্রত করে হোক।
অথবা দুটো করেই হোক, বিজেপি অগ্রসর হবে।
কথা হলো-
আপনি ভারতের আগ্রাসীভাবে বিরোধীতা করবেন, কিন্তু মূল থিউরীর বিরোধীতা করবেন না,
তবে আপনি ভারতীয় আগ্রাসন থামাবেন কিভাবে ?
যারা এ ধরনের কথা বলছেন, তাদেরকে একটা প্রশ্ন করতে চাই,
বর্তমান ভারতের ক্ষমতায় আছে কে ? তারা কোন থিউরীতে আগাচ্ছে ??
উত্তর হবে- বিজেপি, যাদের থিউরী হলো হিন্দুত্ববাদ।
কথা হলো- ভারত যদি বাংলাদেশে আগ্রাসন চালায়,তবে অবশ্যই তাদের থিউরী হবে- হিন্দুত্ববাদ।
সেটা ভারত থেকে হিন্দুত্ববাদের প্রেসার দিয়ে হোক, অথবা বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ জাগ্রত করে হোক।
অথবা দুটো করেই হোক, বিজেপি অগ্রসর হবে।
কথা হলো-
আপনি ভারতের আগ্রাসীভাবে বিরোধীতা করবেন, কিন্তু মূল থিউরীর বিরোধীতা করবেন না,
তবে আপনি ভারতীয় আগ্রাসন থামাবেন কিভাবে ?
আসলে যারা, “ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলুন, হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বলবেন না” বলে প্রচার চালায়,
তারা হলো ব্যাকডেটেড্ । এরা ভারতকে কংগ্রেসের ভারত হিসেবে এখনও কল্পনা করে রেখেছে,
এখনও মোদির ভারত ভাবতে পারেনি।
তারা ভারতকে কংগ্রেসের ভারত মনে করে বলেই ভারতীয় আগ্রাসনকে ধর্মনিরপেক্ষকতা দিয়ে আটকাতে চায়।
তারা যদি ভারতকে মোদির ভারত ভাবতে পারতো, তবে অবশ্যই হিন্দুত্ববাদের বিরোধীতা করতো।
তাদের এখানেই বড় ভুল আছে।
আমার মনে হয়, একটা সময় তারা এ ভুলটা বুঝতে পারবে।
তাদের এ ভুল থিউরী যারা অনুসরণ করতেছে, তারাও হয়ত ভুলটা বুঝতে পারবে,
কিন্তু তখন কিছু করার থাকবে না।
সত্যিই বলতে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ ঠেকানো যেতো, তবে কংগ্রেস অনেক আগেই সফল হতো। কিন্তু ভারতে দিনে দিনে কংগ্রেস দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে।
ভারতে তো ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে পরীক্ষীত হারু পার্টি।
সেই হারু পার্টির থিউরী নিয়ে আপনি পুরো বাংলাদেশকেই হারিয়ে দিতে চান ??
তারা হলো ব্যাকডেটেড্ । এরা ভারতকে কংগ্রেসের ভারত হিসেবে এখনও কল্পনা করে রেখেছে,
এখনও মোদির ভারত ভাবতে পারেনি।
তারা ভারতকে কংগ্রেসের ভারত মনে করে বলেই ভারতীয় আগ্রাসনকে ধর্মনিরপেক্ষকতা দিয়ে আটকাতে চায়।
তারা যদি ভারতকে মোদির ভারত ভাবতে পারতো, তবে অবশ্যই হিন্দুত্ববাদের বিরোধীতা করতো।
তাদের এখানেই বড় ভুল আছে।
আমার মনে হয়, একটা সময় তারা এ ভুলটা বুঝতে পারবে।
তাদের এ ভুল থিউরী যারা অনুসরণ করতেছে, তারাও হয়ত ভুলটা বুঝতে পারবে,
কিন্তু তখন কিছু করার থাকবে না।
সত্যিই বলতে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ ঠেকানো যেতো, তবে কংগ্রেস অনেক আগেই সফল হতো। কিন্তু ভারতে দিনে দিনে কংগ্রেস দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে।
ভারতে তো ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে পরীক্ষীত হারু পার্টি।
সেই হারু পার্টির থিউরী নিয়ে আপনি পুরো বাংলাদেশকেই হারিয়ে দিতে চান ??
অনেকে হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন-
তবে কি আপনি ভারতের উগ্রহিন্দুত্ববাদের কথা বলে বাংলাদেশে হিন্দু নিধন করতে চান ?
দাঙ্গা ঘটিয়ে বিজেপি’কে আরো শক্তিশালী করে দিতে চান ??
না, আমি কোনটাই চাই না।
আমি অন্তত এতটুকু চাই-
বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে ভারতীয় উগ্রহিন্দুত্ববাদ প্রবেশ না করুক।
বাংলাদেশী হিন্দুরা বাংলাদেশী হিন্দু-ই থাকুক, অখণ্ড ভারত তত্ত্বে বিশ্বাসী হিন্দু না হয়ে যাক।
হিন্দুরা নিজেরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করুক এবং হিন্দু ধর্মের নাম দিয়ে ভারতে যে দাঙ্গাবাজি হচ্ছে তার বিরোধীতা করুক।
আমি দেখেছি, মুসলমান নাম দিয়ে কোন স্থানে যদি বোমা হামলা হয়েছে, সাথে সাথে সমস্ত মুসলমান তার প্রতিবাদ করেছে, সেটাকে ছিঃ ছিঃ বলেছে। বলেছে- “আমরা তোমাদের সাথে নেই।”
তাহলে ভারতের যদি হিন্দুত্ববাদের নাম দিয়ে মুসলমান হত্যা করা হয়, তবে বাংলাদেশের হিন্দুরা তার প্রতিবাদ করছে না কেন ? কেন সেটাকে ছিঃ ছিঃ বলছে না ? কেন বলছে না- “আমরা তোমাদের সাথে নেই।”
তবে কি আপনি ভারতের উগ্রহিন্দুত্ববাদের কথা বলে বাংলাদেশে হিন্দু নিধন করতে চান ?
দাঙ্গা ঘটিয়ে বিজেপি’কে আরো শক্তিশালী করে দিতে চান ??
না, আমি কোনটাই চাই না।
আমি অন্তত এতটুকু চাই-
বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে ভারতীয় উগ্রহিন্দুত্ববাদ প্রবেশ না করুক।
বাংলাদেশী হিন্দুরা বাংলাদেশী হিন্দু-ই থাকুক, অখণ্ড ভারত তত্ত্বে বিশ্বাসী হিন্দু না হয়ে যাক।
হিন্দুরা নিজেরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করুক এবং হিন্দু ধর্মের নাম দিয়ে ভারতে যে দাঙ্গাবাজি হচ্ছে তার বিরোধীতা করুক।
আমি দেখেছি, মুসলমান নাম দিয়ে কোন স্থানে যদি বোমা হামলা হয়েছে, সাথে সাথে সমস্ত মুসলমান তার প্রতিবাদ করেছে, সেটাকে ছিঃ ছিঃ বলেছে। বলেছে- “আমরা তোমাদের সাথে নেই।”
তাহলে ভারতের যদি হিন্দুত্ববাদের নাম দিয়ে মুসলমান হত্যা করা হয়, তবে বাংলাদেশের হিন্দুরা তার প্রতিবাদ করছে না কেন ? কেন সেটাকে ছিঃ ছিঃ বলছে না ? কেন বলছে না- “আমরা তোমাদের সাথে নেই।”
তারা যদি এতটুকু না বলে, তবে কি করে বোঝা যাবে-
তাদের মধ্যে উগ্রহিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করে নাই ?
তারাও ভারতের মুসলিম নিধনে সমর্থক না ?
কি করে বলা যাবে, কয়েকদিন পর বাংলাদেশ ভেঙ্গে তারা অখণ্ড ভারত চাইবে না ?
কি করে বলা যাবে, তারা দুইদিন পর সুযোগ পেলে বাংলাদেশেও মুসলিম গণহত্যা শুরু করবে না ?
তাদের মধ্যে উগ্রহিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করে নাই ?
তারাও ভারতের মুসলিম নিধনে সমর্থক না ?
কি করে বলা যাবে, কয়েকদিন পর বাংলাদেশ ভেঙ্গে তারা অখণ্ড ভারত চাইবে না ?
কি করে বলা যাবে, তারা দুইদিন পর সুযোগ পেলে বাংলাদেশেও মুসলিম গণহত্যা শুরু করবে না ?
যারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে মুসলমানদের ধর্মনিরপেক্ষ করতে চায়,
আমি তাদের বলবো- দয়া করে আপনারা আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের ধর্মনিরপেক্ষ করেন।
যদি ধর্মনিরপেক্ষ নাও পারেন, তবে অন্তত তাদের উগ্রহিন্দুত্ববাদ নিরপেক্ষ করেন।
আজকে আপনারা উগ্রহিন্দুত্ববাদ বন্ধ না করে মুসলমানদের ধর্মনিরপেক্ষ করতে চান,
কালকে উগ্রহিন্দুরা যখন বাংলাদেশের মুসলমানদের গলা কাটা শুরু করবে,
তখন যে আপনারা পল্টি মারবেন না, তার কি গ্যারান্টি ?
আমি তাদের বলবো- দয়া করে আপনারা আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের ধর্মনিরপেক্ষ করেন।
যদি ধর্মনিরপেক্ষ নাও পারেন, তবে অন্তত তাদের উগ্রহিন্দুত্ববাদ নিরপেক্ষ করেন।
আজকে আপনারা উগ্রহিন্দুত্ববাদ বন্ধ না করে মুসলমানদের ধর্মনিরপেক্ষ করতে চান,
কালকে উগ্রহিন্দুরা যখন বাংলাদেশের মুসলমানদের গলা কাটা শুরু করবে,
তখন যে আপনারা পল্টি মারবেন না, তার কি গ্যারান্টি ?
আজকে সেক্যুলার রাজনীতির নাম দিয়ে মুসলিম ভোট পেয়ে ক্ষমতা ধরে আছে মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সেই মমতা কিন্তু ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদি পাশে দাড়িয়েছিলো।
মমতা পশ্চিমবঙ্গে আছে বলে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের অনেক উন্নতি হয়েছে তা কিন্তু নয়।
সে যা দিয়েছে শুধু মুখে মুখে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের শিক্ষা ও চাকুরীর হার বলে দেয়,
এসব সেক্যুলারিজম শুধু দল ভারি করার ধান্ধা, কিন্তু বাস্তবতায় সেক্যুলারদের সাথে থাকলে মুসলমানদের অবনতি ছাড়া উন্নতি হয় না।
সেই মমতা কিন্তু ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদি পাশে দাড়িয়েছিলো।
মমতা পশ্চিমবঙ্গে আছে বলে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের অনেক উন্নতি হয়েছে তা কিন্তু নয়।
সে যা দিয়েছে শুধু মুখে মুখে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের শিক্ষা ও চাকুরীর হার বলে দেয়,
এসব সেক্যুলারিজম শুধু দল ভারি করার ধান্ধা, কিন্তু বাস্তবতায় সেক্যুলারদের সাথে থাকলে মুসলমানদের অবনতি ছাড়া উন্নতি হয় না।