তিনি গোলাপি বল দেখতে পান, কিন্তু জনগনের পশ্চাতের গোলাপি সূতাখানা দেখতে পান না। এন.সি-৫৯

Related image
তিনি গোলাপি বল দেখতে পান, কিন্তু জনগনের পশ্চাতের গোলাপি সূতাখানা দেখতে পান না
ঢাকার ভাষায় কিছু স্ল্যাং প্রচলিত আছে। সেগুলো শুনতে সত্যিই অশ্লীল। কিন্তু বাস্তব জীবনে কোন ঘটনার একেবারে বাস্তব ভাব ফুটিয়ে উঠাতে সেই স্ল্যাংগুলোর তুলনা নাই। যেমন কোন মানুষ যখন কঠিন অবস্থায় পৌছে যায়, খুব কষ্টে থাকে তখন ঢাকাইয়ারা বলে, “আমার পাছা দিয়ে লাল সূতা বাইর হইতাছে আর তুই আমার লগে মস্করা করস!”
পাছা দিয়ে লাল সূতা বের হওয়া দিয়ে ঢাকাইয়ারা খুব সহজেই একটা মানুষের জীবনের কষ্ঠের মুহুর্তকে তুলে ধরতে পারে। সেই লালের পরিবর্তে তার নিকটত্মীয় গোলাপি রং এর সূতা যদি ধরে নেই, তবে জীবনযাত্রার উচ্চব্যয়ের কারণে অবশ্যই বর্তমানে জনগণের পশ্চাত দিয়ে গোলাপি সূতা বের হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জনগনের পশ্চাৎদেশ দিয়ে বের হওয়া সেই গোলাপি সূতা না দেখে তিনি কলকাতা গেছেন ক্রিকেটের গোলাপি বল দেখতে !!
সম্প্রতি খাদ্য নিয়ে জনমানুষের মনে যে শঙ্কা তৈরী হয়েছে, তাকে তিনি গুজব বলে এড়িয়ে গেছেন। উনার দাবী- নিত্যপণ্যের বাজারে যে অস্থিরতা তৈরী হচ্ছে, সেটা তার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব। (https://bit.ly/2QJ3Sr2)
এই যে তিনি কথাটা বললেন, এটা দ্বারা প্রমাণ হয়, তিনি আসলে জনগণের কোন খবর রাখেন না, অথবা খবর রাখার প্রয়োজনবোধ করেন না। খাদ্যদ্রব্যের দাম কিন্তু একদিনে বৃদ্ধি পায়নি, বরং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং এতে গণমানুষ কতটা কষ্টে আছে, সেটা তিনি গণমানুষের সাথে সম্পর্ক রাখলে অবশ্যই বুঝতে পারতেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েও জনবিচ্ছিন্ন, তাই গণমানুষের খবর তার কাছে নেই।
আর তাছাড়া সবার কাছে তো আর দুর্নীতির কাড়ি কাড়ি টাকা নেই, অথবা পাবলিকের ট্যাক্সের টাকায় তো সবার বাসায় রান্না হয় না। সবাইকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেই অর্থ উপার্জন করতে হয়। তাই দুর্নীতিবাজ আর পাবলিকের ট্যাক্সর টাকায় রান্না করা লোকরা গণমানুষের কষ্টটা বুঝবে কিভাবে ??
এজন্যই তো তারা জনগণের কষ্টকে গুজব বলে মস্করা করে আর ঘণ্টা বাজায় নেচে গেয়ে গোলাপি বল নিয়ে মাতামাতি করে, কিন্তু যে জনগনের নাম বেচে খাচ্ছেন, সেই জনগণের পশ্চাতের গোলাপি সূতাখানা দেখতে তারা পায় না, এটাই দুঃখ।