বলছিলাম- ‘ইমরান যে তুই অপরাধী’ থিউরী ব্যবহার করছে,। এন.সি- ১২৯

বলছিলাম- ‘ইমরান যে তুই অপরাধী’ থিউরী ব্যবহার করছে,
Related image

কয়েকদিন আগে ইমরান খানের ভাষণের পর একটা স্ট্যাটাস দিছিলাম,
বলছিলাম- ‘ইমরান যে তুই অপরাধী’ থিউরী ব্যবহার করছে,
বাংলাদেশীরা এখনও সেই যোগ্যতা অর্জন করে নাই,
বাংলাদেশীদের উচিত ইমরান খানের থেকে শিক্ষা নেয়া।
সম্প্রতি বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর কিন্তু বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে গেছে,
বাংলাদেশীরা এখনও ‘তুই অপরাধী’ এ কথাটা বলতে পারে না।
তাহলে বাংলাদেশীদের আসলে এখন কোন যোগ্যতা পয়দা হয় নাই।
গতকাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির রিপোর্টে (https://bit.ly/2VqsyoF) একটি বিষয় স্পষ্ট হয়-
যেই উপলক্ষকে কেন্দ্র করে আবরার হত্যা, অর্থাৎ ফেসবুকে পোস্ট, লাইক, কমেন্ট ইত্যাদি,
সেই উপলক্ষটা তৈরী করে ‘অমিত সাহা’। সেই আবরারের মোবাইল চেক করে এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত করে, তারপর তাকে পিটানোর দায়িত্ব নেয় অন্য সবাই। কিন্তু এরপরেও ‘অমিত সাহা’ নামটি আশ্চর্যজনকভাবে গায়েব হয়ে যায় এবং সবাই (পুলিশ, মামলার এজহার, ছাত্রলীগের বহিষ্কার লিস্ট এমনকি মিডিয়া থেকে) অমিত সাহা’র নামটি রহস্যজনকভাবে লুকিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে অমিত সাহা তার নিকট লোকজন নিয়ে বিভিন্ন প্রমাণ সাজানোর চেষ্টা করে, সেই দিন ঘটনার সময় সে উপস্থিতই ছিলো না।
পুরো ঘটনায় যেটা দেখা যায়-
১) অমিত সাহা যে মূল সূচনাকারী, এ কথাটা বুয়েটে অনেক ছাত্রই জানে। কিন্তু তারা এ কথাটা প্রকাশ্যে বলতে পারতেছে না। হাজার হাজার স্ট্যাটাস দিয়ে ভাইরাল করতে পারতেছে না, বলতে পারতেছে না- অমিত তুই অপরাধী।
২) পুলিশ বলতে পারতেছে না, অমিত সাহা অপরাধী। মামলার আসামীর তালিকায় তার নাম রাখা হয় নাই। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে বার বার জিজ্ঞেস করা হলেও সে অমিতের নামটা জানে না। এমনকি বলতেছে, ঐ রুমে তিনজন থাকতো (তাও অমিত ছিলো না)। পুলিশ অপরাধীকে অপরাধী বলতে পারতেছে না।
৩) ছাত্রলীগ আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, এটা ঠিক। কিন্তু কোন সদস্যের প্ররোচনায় তারা কাজটি করেছে, এ কথাটা তারা বলতে পারতেছে না। প্রয়োজনে নিজের ১১ জন সদস্যকে সে খুনি হিসেবে প্রচার করতেছে, কিন্তু অপরাধীর কথাটা তারা প্রকাশ্যে মুখে উচ্চারণ করতে পারতেছে না। বলতে পারতেছে না- ঐ ঘটনার সূচনাকারী অমিত সাহা।
৪) ভিসি থেকে শুরু করে প্রভোস্ট, সবাই নিজে গালি খাচ্ছে, কিন্তু ঘটনাটা কেন ঘটলো, কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে হলো- সেটা বলতে পারতেছে না।
এই ঘটনা শুধু এবার নয়-
প্রিয়া সাহা বা তার হ্যাজবেন্ডকে বাংলাদেশ অপরাধী বলতে পারে নাই।
হিন্দুদের মধ্যে একটি গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত ইসরাইলের মোসাদের সাথে মিটিং করে বাংলাদেশের বারাংবার অরাজকতা করার ঘোষণা দিচ্ছে, করছেও। কিন্তু সরকার একবারও বলতে পারে নাই- ওরা অপরাধী।
রানা দাস গুপ্ত, গোবিন্দ প্রামণিকরা বার বার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করে যাচ্ছে, বিদেশী শক্তিকে উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের হামলার জন্য কিন্তু তারপরও তারা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে, অপরাধী হিসেবে তাদের ঘোষনা করা যায় নাই। এর কারণ ইমরান খান উগ্রহিন্দুত্ববাদকে যেভাবে প্রকাশ্যে উন্মোচন করেছে, সেই সাহস আমাদের কারো নেই। আমি ইমরান খানের ভাষনের সেই অংশটুকু দিচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষ এটা মুখস্ত করুক এবং সেভাবে উগ্রহিন্দুত্ববাদকে তুই অপরাধী হিসেবে বলতে শিখুক, হয়ত এই চর্চাটা আগামীতে বাংলাদেশকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করবে।
ইমরান খান-
“আমি আরএসএস সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে চাই। নরেন্দ্র মোদি আরএসএস এর আজীবন সদস্য। আরএসএস এমন একটি সংগঠন যেটি এডলফ হিটলার এবং মুসোলিনীর হিংস্র আদর্শে অনুপ্রাণিত। নাৎসীরা যে পদ্ধতিতে অন্য সকল জাতি হতে নিজেদের সেরা ভাবতো। একইভাবে আরএসএসও নিজেদের সবার চেয়ে সেরা মনে করে।
আরএসএস ভারত থেকে মুসলমানদের জাতিগত নিধনে বিশ্বাসী, এটা সবাই জানে। আরএসএস হিন্দুত্ববাদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী। তারা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। তারা বিশ্বাস করে মুসলিম শাসনের ফলে হিন্দুত্ববাদের সোনালী যুগের অবসান ঘটেছে। তারা সরাসরি মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। এটা সবাই জানে। গুগল করে আপনি জানতে পারবেন আরএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা গোলকওয়ার। এই ঘৃণার আদর্শ ১৯৪৮ সালে হত্যা করেছে ভারতের অবিসংবাদিত নেতা গান্ধীকে।
এই ঘৃণার আদর্শ আরএসএস এর গুন্ডাদেরকে মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২ হাজার মুসলিমকে জবাই করতে প্রেরণা দিয়েছিল। মোদির নির্দেশে গেরুয়া পাঞ্জাবী পরে ৩ দিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল আরএসএস এর সন্ত্রাসীরা। তাদের তান্ডবে ২ হাজার মুসলিম নিহত হয় এবং গৃহহীন হয় দেড় লাখ মুসলিম। ”