প্রায় আড়াই বছর যাবত দেশের অর্থনীতিতে ‘কর্পোরেক্রেসি’ পলিসি নিয়ে লিখছি। বলেছি, এ পদ্ধতিতে-
দেশের উন্নয়ন বলতেগুলো কতগুলো ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল আর বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, কিন্তু দিন শেষে মানুষ ঠিক মত খেতে পারবে না। মানুষের জীবন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাবে। ১০০০ টাকার দাম ১০০টার মত হয়ে যাবে। মানুষ খুব কষ্ঠে দিনাতিপাত করবে। দেশের উৎপাদনশীল খাত (ব্যবসা, কৃষি, দেশী শিল্প) ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন বিদেশী ব্যবসায়ীরা এসে বাংলাদেশের জনগণকে স্বল্প মূল্যে দাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
দেশের উন্নয়ন বলতেগুলো কতগুলো ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল আর বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, কিন্তু দিন শেষে মানুষ ঠিক মত খেতে পারবে না। মানুষের জীবন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাবে। ১০০০ টাকার দাম ১০০টার মত হয়ে যাবে। মানুষ খুব কষ্ঠে দিনাতিপাত করবে। দেশের উৎপাদনশীল খাত (ব্যবসা, কৃষি, দেশী শিল্প) ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন বিদেশী ব্যবসায়ীরা এসে বাংলাদেশের জনগণকে স্বল্প মূল্যে দাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
এভাবে শত শত পোস্টে বর্তমান সরকারের কর্পোরেটোক্রেসি সমর্থিত অর্থনৈতিক পলিসি’র আমি সমালোচনা করেছি, এবং সেটার সমাধান কি হতে পারে সেটা নিয়েও অনেক পোস্টে আলোচনা করেছি।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, দেশ সেই পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা বোঝার পরও যারা দেশের বুদ্ধিজীবি, সচেতনমহল বা সরকারবিরোধী বলে যারা দাবী করে, তারা এই বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করে নাই।
হ্যা তারা সরকারের সমালোচনা করেছে। সরকার ফ্লাইওভার-সেতু বানাতে দুর্নীতি করেছে, সেটার সমালোচনা করেছে, সেটা নিয়ে আন্দোলনে মাঠে নেমে মাঠ গরম করেছে। কিন্তু সরকারের পলিসির সমালোচনা করে নাই। আর তার বিকল্প পলিসি কি হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা তো অনেক দূরের কথা।
হ্যা তারা সরকারের সমালোচনা করেছে। সরকার ফ্লাইওভার-সেতু বানাতে দুর্নীতি করেছে, সেটার সমালোচনা করেছে, সেটা নিয়ে আন্দোলনে মাঠে নেমে মাঠ গরম করেছে। কিন্তু সরকারের পলিসির সমালোচনা করে নাই। আর তার বিকল্প পলিসি কি হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা তো অনেক দূরের কথা।
এতে আলটিমেটলি যেটা হয়েছে, রাজনীতি হইছে। সরকারের পক্ষ-বিপক্ষ সমালোচনা হয়েছে, দুই পক্ষ দল ভারি করেছে। কিন্তু জনগণের কোন উপকার হয় নাই। আপনি সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুই-চারটা অ্যাকশন নিয়ে সবার মুখ চুপ করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার পলিসি চেঞ্জ করে নাই। কিন্তু জনগণের উপকারের জন্য দরকার ছিলো কর্পোরেক্রেসি নির্ভর অর্থনৈতিক পলিসি পরিবর্তন করা, কিন্তু সেটা হয় নাই।
সত্যিই বলতে, কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, তখন কিন্তু এটা প্রমাণ হয় না, অভিযোগকারী দোষী ব্যক্তির তুলনায় উত্তম।
বরং অভিযোগকারী যদি দোষী ব্যক্তির দোষ ধরার সাথে সাথে তার তুলনায় তুলনায় অধিক উত্তম কোন পলিসি উত্থাপন করতে পারতো, তখন প্রমাণ করতে হতো, সে দোষী ব্যক্তির তুলনায় উত্তম।
কিন্তু বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বা বুদ্ধিজীবিরা এ কাজটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ তারা শুধু আওয়ামী সরকারের ‘পায়ে পায়ে’ দোষ ধরেছে, কিন্তু তারা যে আওয়ামী সরকারের থেকে উত্তম বা উন্নত পলিসি তাদের কাছে সেটা প্রমাণ করতে পারে নাই।
আর এ কারণেই সত্যি বলতে, আওয়ামীলীগের প্রকৃত কোন বিরোধীদল গড়ে উঠে নাই এবং তার দরুণ সে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারছে।
অর্থাৎ আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার রহস্য যে যাই বলুক, আমার মতে এর পেছনে আওয়ামীলীগের সফলতা নয়, বরং বিরোধী পক্ষগুলোর দুর্বলতা বা ভুল পলিসি বেশি দায়ী।
বরং অভিযোগকারী যদি দোষী ব্যক্তির দোষ ধরার সাথে সাথে তার তুলনায় তুলনায় অধিক উত্তম কোন পলিসি উত্থাপন করতে পারতো, তখন প্রমাণ করতে হতো, সে দোষী ব্যক্তির তুলনায় উত্তম।
কিন্তু বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বা বুদ্ধিজীবিরা এ কাজটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ তারা শুধু আওয়ামী সরকারের ‘পায়ে পায়ে’ দোষ ধরেছে, কিন্তু তারা যে আওয়ামী সরকারের থেকে উত্তম বা উন্নত পলিসি তাদের কাছে সেটা প্রমাণ করতে পারে নাই।
আর এ কারণেই সত্যি বলতে, আওয়ামীলীগের প্রকৃত কোন বিরোধীদল গড়ে উঠে নাই এবং তার দরুণ সে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারছে।
অর্থাৎ আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার রহস্য যে যাই বলুক, আমার মতে এর পেছনে আওয়ামীলীগের সফলতা নয়, বরং বিরোধী পক্ষগুলোর দুর্বলতা বা ভুল পলিসি বেশি দায়ী।