সাধারণত বৃহস্পতি দিন গিয়ে রাতে অথবা। এন.সি-১৫

সাধারণত বৃহস্পতি দিন গিয়ে রাতে অথবা
কোন ছুটির দিন বা তার আগের রাতে
একটি ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাড়িয়েছে, সেটা হলো আগুন লাগা।
কোন বস্তি বা কারখানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
যে আগুন স্বাভাবিকভাবে লাগে- সেগুলো হয় সাপ্তাহিক খোলার দিনে, সর্বোচ্চ দমকল বাহিনী ২-৩টা ইউনিট যেতে হয়, কিন্তু নিভে যায় খুব সহজে।
কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটি দিন বা তার আগের রাতে যেগুলো লাগে,
সেগুলো নিভাতে যায় কমপক্ষে এক ডজন ইউনিট,
কিন্তু পোড়া শেষ হলেই কেবল আগুন নিভে,
এতগুলো ইউনিট যায় শুধু নাম ফুটাইতে।
এই আগুন লাগার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে-
তবে মূল কারণ সরকার পর্যটন শিল্পের দিকে ঝুকছে।
ঢাকা শহরকে সরকার পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে। এর জন্য সরকার পাকা ভবনগুলোকে বুলডোজার দিয়ে ভাঙ্গছে আর কারখানা বা কাচাবস্তিগুলোতে আগুন লাগচ্ছে। এটা নিয়মিত ঘটনা। নদী বা লেকের তীরে যেহেতু পর্যটন ভিউ সুন্দর, তাই নদীর তীরবর্তী এলাকা বা খাল বা লেকের আশেপাশের এলাকায় এই উচ্ছেদ কর্মসূচিত এখন নিয়মিত হয়ে দাড়িয়েছে।
ঢাকায় বিরাট জনগোষ্ঠী আছে বস্তিবাসী। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ছোটখাটো কলকারখানাও কম নয়। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে চাইছে সরকার।
উন্নত ঢাকা হবে, কিন্তু সেটা হবে এলিট শ্রেণীর ও পর্যটক শ্রেণীর জন্য। বাকিদের আগুনে ঝলসে উধাও করে দেয়া হবে। ঢাকা শহরকে সৌন্দর্যবর্ধণ করার জন্য খালিকরণে আওয়ামী সরকারের মত এত সুন্দর প্ল্যান আরো কেউ নিতে পারবে কি না, তা আমার জানা নাই।