আওয়ামী সরকার তার নিজের অবস্থা ধরে রাখতে এখন গুজবের আশ্রয় নিচ্ছে,।এন.সি- ৪১

Related image
কিছুদিন আগেই আমি বলেছিলাম,
আওয়ামী সরকার তার নিজের অবস্থা ধরে রাখতে এখন গুজবের আশ্রয় নিচ্ছে,
তার কিছু উদহারণও দিয়েছিলাম। সর্বশেষ তার উদহারণ হলো-
ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরুর কথিত ফোনালাপ নিয়ে মাতামাতি।
এই ভুয়া ফোনালাপ নিয়ে আওয়ামী ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক এবং আওয়ামীপন্থী কিছু সাংবাদিক হুদাই লাফালাফি করতেছে।
কিন্তু এতে ভিপি নুরের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ আমি দেখতেছি না
বরং আমার মনে হয়, গুজব বেইজ কাজ করার জন্য আওয়ামীলীগই বরং জানান দিচ্ছে, তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে, গুজবই এখন তাদের শেষ ভরসা বা আশ্রয়স্থল।
দুর্নীতি কাকে বলে ?
ভিপি নূর যদি তার সংগঠনের জন্য টাকা সংগ্রহ করতো, অতঃপর সবার অগোচরে সেই টাকা বা তার কোন অংশ নিজ পকেটস্থ করতো, তখন সেটাকে বলা হতো দুর্নীতি। অন্যকিছুকে দুর্নীতি বলা তো ঠিক হবো না।
তবে কেউ যদি সংগঠন চালায়, তবে অবশ্যই তার টাকার দরকার আছে। হাওয়া দিয়ে সংগঠন চলে না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে ডোনেশন চায়। এটা কখনও দুর্নীতি বা অন্যায়ও না।
আর কেউ যদি কারো সংগঠনের জন্য সেধে টাকা দিতে চায়, তবে সেটা তো অন্যায় নয়ই। সুতরাং এটা নিয়ে হুদাই পানিঘোলাকারীরা নিজের দুর্বল অবস্থারই জানান দিচ্ছে।
হ্যা, একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে- ভিপি নূর তার ক্ষমতা দেখিয়ে কারো কাছে চাদা দাবি করেছে কি না ?
কিন্তু যে ভিপি নূর ৪ বার ছাত্রলীগের হাতে মাইর খাইছে, সে নিজেই তো নির্যাতিত।
সে কিভাবে করে অন্যকে ভয় দেখায় ১৩ কোটি চাদা দাবী করবে ? এটা গাধাও বিশ্বাস করবে না।
তবে আলোচ্য ফোনালাপে সে যে সিকিউটিরি ম্যানির কথা বলছে,
এটা বর্তমান যুগে হরহামেশা চলছে। একজনের টাকা দেখায় অন্যজন বিদেশ যায়,
একজনের টাকা দেখায় অন্যজন ব্যাংকের অমুক-তমুক সুবিধা গ্রহণ করে।
এখন যে ব্যক্তি সিকিউরিটি মানি দিচ্ছে, সে যদি রাজী থাকে,
তবে ‘মিয়া বিবি রাজী, কেয়া কারেগা কাজী’র মত অন্যদের অবজেকশন তোলার কোনই যৌক্তিকতা নাই।
আর দুনিয়ায় টাকা ছাড়া কেউ বাচতে পারে না।
ভিপি নূরের ঘর সংসার আছে, তারা টাকা লাগবেই।
এজন্য সে কোন কোম্পানির হয়ে কাজ করতেই পারে, এ অধিকার তার আছে।
পাশাপাশি রাশেদ যদি সংসার চালানোর জন্য আম বিক্রি করে, তবে এটাও বৈধ
কিন্তু এটাকে দুর্নীতি বলে প্রচার করা বা ট্রল করা কোন স্বাভাবিক কাজ হতে পারে না,
অন্তত আমরা যারা জাতিগতভাবে মদ্যপ বা জুয়ারি না, তারা এটা কখনই করবো না।
হ্যা তারা করবে, যারা দলগতভাবে মদ্যপ বা পেশাগতভাবে জুয়ারি বা চাদাবাজ।
বৈধ কাজ দেখলেই বরং তাদের চুলকানি শুরু হয়, ভাবে সেটাই বোধহয় অবৈধ।