পৃথিবীর নতুন ইসরাইলের নাম ভারত। এন.সি-৩৬

Related image
পৃথিবীর নতুন ইসরাইলের নাম ভারত
ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটিকে তুলনা করা হয় বিষফোঁড়ার সাথে। বিষফোড়া হলো নিজেই এক যন্ত্রণার নাম, যে প্রতিনিয়ত তার অস্তিত্বের মাধ্যমে চতুর্পাশ্বে ব্যাথ্যার বিস্তৃতি ঘটায়।
ইসরাইল একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র, ইহুদী ধর্মাবলম্বী ও তাদের সমগোত্রীয় (যেমন- ড্রুজ) ব্যতিত মুসলমানদের অস্তিত্ব সেখানে পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। ইহুদীরা নিজেদের দাবী করে ব্লু ব্লাড বা অভিজাত শ্রেণী আর মুসলমানদের তুলনা করে তেলাপোকার সাথে। আর তেলাপোকা মারলে কোন দোষ নেই।
বর্তমানে- এনআরসি, অতঃপর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমেও ভারতও সেই পথে হেটেছে।
ভারতকে একমাত্র হিন্দু ও তার সমগোত্রীদের জন্য নিদ্দিষ্ট করেছে, উদ্বাস্তু করেছে মুসলমানদের।
তবে ইসরাইলের থেকে ভারত ভয়ঙ্কর, কারণে ইসরাইলে হুমকির মুখে ৩০ লক্ষ ফিলিস্তিনি মুসলমান,
আর ভারতে ৩০ কোটি মুসলমান, অর্থাৎ ১০০ গুন বেশি।
উল্লেখ্য স্বাধীনতার অর্থ শতাব্দীর বেশি পার হয়ে গেলেও এখন পৃথিবীর আড়াই ডজন রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারত যে পথে হাটছে, তাতে ইসরাইলের মত আচরণ ভারতের সাথেও করতে হবে, এটা নিয়ে মুসলমান দেশগুলোর জরুরী সভা ডাকা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নতুন ইসরাইল ভারত নিয়ে চতুপার্শে্বর রাষ্ট্রগুলোর পৃথক নীতির প্রয়োজন। কারণ ইসরাইলের মত আগ্রাসী ধর্মীয় নীতি সামাল দিতে চার পাশের রাষ্ট্রগুলোর শক্ত অবস্থান থাকতে হবে। বিশেষ করে যেখানে ভারতের আছে মহাভারত বা অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার ধর্মীয় মহাপরিকল্পনা, যার ঘোষণা তারা মাঝে মাঝেই দেয়। এ অবস্থায় আপনি চুপ করে তাদের দেশের সনু-ক্যাটরিনার গান থেকে অলস সময় কাটানো মানে- আপনি নিজ দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত না অথবা আপনি নিজেই অখণ্ড ভারতের অংশ হতে আগ্রহী।
এ অবস্থায় সারা বিশ্বের মুসলমানদের ইসরাইলের মত ভারতকেও বয়কট করতে আহবান জানাতে হবে। এবং বাংলাদেশের মুসলমানদেরও সোচ্চার ও প্রতিবাদী হতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে আরেকটি স্বাধীনতা যুদ্ধের, নয়ত অখণ্ড ভারতের অংশ হলেও তাকেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তেলাপোকা বলে গণ্য করা হবে, ঐ রাষ্ট্রে মুসলমানকে হত্যা করা এবং তার মা-বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করাই হবে রাষ্ট্র সমর্থিত পূণ্য আইন।