বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো কোন রাষ্ট্র, জানেন ?
উত্তর : ইসরাইল, ২৮শে এপ্রিল, ১৯৭১ সাল।
সেই কঠিন সময়ও বাংলাদেশ সেই স্বীকৃতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ফের ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
উত্তর : ইসরাইল, ২৮শে এপ্রিল, ১৯৭১ সাল।
সেই কঠিন সময়ও বাংলাদেশ সেই স্বীকৃতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ফের ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
তখনও বাংলাদেশ ইসরাইলের সেই স্বীকৃতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে মিশর-সিরিয়া-ফিলিস্তিন অক্ষের প্রতি প্রকাশ্য জোরালো সমর্থন ঘোষনা করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান। এসময় যুদ্ধে সেবা দেবার জন্য তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল টিম এবং ত্রাণ সামগ্রীও পাঠান। তিনি মিসর ও সিরিয়ায় এক লাখ পাউন্ড চা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
একারণে এখনও বাংলাদেশ ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তার সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকে-- ‘ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT ISRAEL’।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে মিশর-সিরিয়া-ফিলিস্তিন অক্ষের প্রতি প্রকাশ্য জোরালো সমর্থন ঘোষনা করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান। এসময় যুদ্ধে সেবা দেবার জন্য তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল টিম এবং ত্রাণ সামগ্রীও পাঠান। তিনি মিসর ও সিরিয়ায় এক লাখ পাউন্ড চা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
একারণে এখনও বাংলাদেশ ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তার সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকে-- ‘ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT ISRAEL’।
এতগুলো কথা বললাম- কারণ যে বঙ্গবন্ধুর নাম করে বাংলাদেশে অনেক কিছু হয়, অথচ সেই বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত চেতনা ছিলো জালেমের বিরোধীতা করা এবং মজলুমদের পাশে থাকা।
তাহলে আজকে যখন ভারত ইসরাইলের ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছে,
এনআরসি ও নাগরিক বিল সংশোধনী করে ইসরাইলের অনুকরণে শুধু এক জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার টার্গেট নিয়েছে, গৃহহীন করছে ৩০ কোটি ভারতীয় মুসলমানকে। এখন যদি বঙ্গবন্ধু বেচে থাকতেন, তবে তিনি কার পক্ষে নিতেন ?
নরেন্দ্র মোদির ? নাকি ৩০ কোটি বাস্তুহারা ভারতীয় মুসলমানের ?
তাহলে আজকে যখন ভারত ইসরাইলের ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছে,
এনআরসি ও নাগরিক বিল সংশোধনী করে ইসরাইলের অনুকরণে শুধু এক জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার টার্গেট নিয়েছে, গৃহহীন করছে ৩০ কোটি ভারতীয় মুসলমানকে। এখন যদি বঙ্গবন্ধু বেচে থাকতেন, তবে তিনি কার পক্ষে নিতেন ?
নরেন্দ্র মোদির ? নাকি ৩০ কোটি বাস্তুহারা ভারতীয় মুসলমানের ?
আমি নিশ্চিত, ভারত যখন ইসরাইলের ভূমিতায় অবর্তীণ, তখন বঙ্গবন্ধু কিছুতেই ভারতের পক্ষ নিতেন না।
বরং তিনি ঘৃণভারে ভারতের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রয়োজনে বাংলাদেশে পাসপোর্টে লিখে দিতেন-
‘ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT ISRAEL & INDIA’।
বরং তিনি ঘৃণভারে ভারতের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রয়োজনে বাংলাদেশে পাসপোর্টে লিখে দিতেন-
‘ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT ISRAEL & INDIA’।
বাংলাদেশের বিজয় দিবস অতি সন্নিকটে।
আমার মনে হয় এই বিজয় দিবসে আমাদের নতুন করে শ্লোগান নিতে হবে। শ্লোগান দিতে হবে নব্য ইসরাইল ভারতের বিরুদ্ধে, যারা ৩০ কোটি জনগণকে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার ঘৃণ্য পায়তারা শুরু করেছে।
আমাদের শ্লোগান তুলতে হবে- ভারতের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য।
শ্লোগান দিতে হবে, ভারতকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে কোন ধরনের করিডর বা ট্র্যানজিট সুবিধা দেয়া যাবে না। দেয়া যাবে না সড়ক, নৌ বা সমুদ্রবন্দর সুবিধা। এছাড়া যে ১০ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরী করে মোটা অংকের রেমিটেন্স ভারতে পাঠাচ্ছে, সেই ভারতীয়দের অবিলম্বে দেশে ফিরে যেতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ভারতীয় পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশী শিল্পকে যে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে, সেটাও বন্ধ করতে হবে।
আমার মনে হয় এই বিজয় দিবসে আমাদের নতুন করে শ্লোগান নিতে হবে। শ্লোগান দিতে হবে নব্য ইসরাইল ভারতের বিরুদ্ধে, যারা ৩০ কোটি জনগণকে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার ঘৃণ্য পায়তারা শুরু করেছে।
আমাদের শ্লোগান তুলতে হবে- ভারতের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য।
শ্লোগান দিতে হবে, ভারতকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে কোন ধরনের করিডর বা ট্র্যানজিট সুবিধা দেয়া যাবে না। দেয়া যাবে না সড়ক, নৌ বা সমুদ্রবন্দর সুবিধা। এছাড়া যে ১০ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরী করে মোটা অংকের রেমিটেন্স ভারতে পাঠাচ্ছে, সেই ভারতীয়দের অবিলম্বে দেশে ফিরে যেতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ভারতীয় পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশী শিল্পকে যে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে, সেটাও বন্ধ করতে হবে।
শুধু তাই নয়, যে সব বাস্তুচ্যূত ভারতীয় মুসলমান স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবী তুলবে তাদেরকেও সর্বাত্মক সহায়তা দিতে হবে বাংলাদেশ থেকেই। হ্যা এবং এগুলো করতে হবে বঙ্গবন্ধুর চেতনার অংশ হিসেবেই, কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের সেই শিক্ষাটাই দিয়েছিলেন-
ইসরাইলের মত জালেমের বিরোধীতা কারো, আর বাস্তুহারা মজলুমের পাশে দাড়াও।।
ইসরাইলের মত জালেমের বিরোধীতা কারো, আর বাস্তুহারা মজলুমের পাশে দাড়াও।।