ভারতে মুসলমানরা যে আন্দোলন করতেছে তার স্বপক্ষে বাংলাদেশের মুসলমানদের এখন সমর্থন জানানো খুব জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।এন.সি-১৯

ভারতে মুসলমানরা যে আন্দোলন করতেছে তার স্বপক্ষে বাংলাদেশের মুসলমানদের এখন সমর্থন জানানো খুব জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। শুধু বাংলাদেশের মুসলমান না, সারা বিশ্বের মুসলমানের সমর্থন জানানো দরকার। কিন্তু সমস্যা হইলো- সরকার এই ইস্যুটাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে আগে থেকে একটা বাধা দেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রাখছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুসলমানদের একটা বুদ্ধি দেই। এই বুদ্ধিটা তারা অনুসরণ করতে পারে। তারা যায়গায় যায়গায় ভারতীয় মুসলমানদের পক্ষে এবং তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে গণ-মোনাজাতের আয়োজন করতে পারে। গণ-মোনাজাতে তারা সব বিচার সৃষ্টিকর্তার কাছেই দিবে, পুরো বিষয়টাই ধর্মীয় হবে, এখানে ইহজাগতিক কোন সম্পর্ক থাকবে না, ফলে স্বাভাবিকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ থাকবে না।
এই গণমোনাজাতের ইহ-জাগতিক কিছু সুফল আছে-
১) বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমান যে ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে, এটা ভারতীয় মুসলমানরা জানতে পারবে, তাদের জন্য এটা একটা বড় শক্তি হবে।
২) এই গণ-মোনাজাতের মাধ্যমে মুসলমানরা বিভেদ ভুলে এক হবে, যেটা এখন খুব দরকার। মুসলিম ওয়ায়েজরা এখন ওয়াজের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে কামড়া-কামড়িতে ব্যস্ত। এটা দূর করা সবচেয়ে জরুরী। তখন তারা নিজেদের মধ্যে একত্র হওয়ার গুরুত্ব বুঝবে।
৩) এই গণ-মোনাজাতের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের আসল শত্রুর সম্পর্কে মোনাজাতের কথার মাধ্যমে ধারণা পাবে। মুসলমানদের শত্রু সম্পর্কে একটা ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত হওয়ার এখন খুব দরকার। যেটা গণ মোনজাতের মাধ্যমে একদম ফিল্ড পর্যায়ে মানুষের মধ্যে পৌছানো সম্ভব।
৪) লক্ষ লক্ষ মুসলমান যখন একত্র হয়ে গগনবিদারী আওয়াজ তুলে শত্রু সম্পর্কে সৃষ্টি কর্তার উদ্দেশ্যে কিছু বলবে, তখন ইচ্ছা অনিচ্ছায় সেটা শত্রুপক্ষের জন্য একটা ভীতি তৈরী করবে। এবং যারা ‘অখণ্ড ভারত’ প্রতিষ্ঠার চিন্তাকারী তাদের জন্য এটা এক সময় বিরাট বাধা হয়ে দাড়াবে।
৫) ভারতীয় মুসলমানরা এখন সমস্যায় আছে এটা সবাই জানে। সবাই তাদের পক্ষে কিছু একটা করতে চায়। কিন্তু কি করবে তা বুঝে উঠতে পারতেছে না। অন্তত এই গণমোনাজাত আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবাই ভারতীয় মুসলমানদের পক্ষে কিছু করার একটা পাবে। তাই এই গণ-মোনাজাতের ব্যবস্থা করলে দল-মত নির্বিশেষে নারী/পুরুষ সবাই এতে অংশগ্রহণ করবে বলে আমার মনে হয়।
৬) এই গণ-মোনাজাত পলিসিটা সব যায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। শুধু মসজিদে বা প্যান্ডেল করে না, রাস্তায় রাস্তায়, অফিস-আদালতে, বন্দর-বাজারে, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে সব যায়গায় গণ মানুষের পক্ষ থেকে বিষয়টি করতে হবে। শুধু ধর্মীয় সংগঠনগুলোকেই এর আয়োজন করতে হবে তা নয়, বরং আপনি সাধারণ ও সচেতন মুসলমান হিসেবেই দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করতে পারেন। শুধু একবার নয়, দিনে বা সপ্তাহে অন্তত ১ বার করলে মানুষের মনের ভেতরে বিষয়গুলো ঢুকবে।
এই গণ-মোনাজাতের সাথে কোন প্রকার দলাদলি, রাজনীতি, দেশী সরকারের বিরোধীতা, ফেরকাবাজি, মাহযাব-তরিকার কোন দ্বন্দ্ব করা যাবে না। গণ-মোনাজাতে শুধু দুটি পক্ষ থাকবে, প্রথমত-ভারতীয় নির্যাতিত মুসলমানের পক্ষে, দ্বিতীয়ত-মুসলমানদের শত্রুর বিরুদ্ধে। ব্যস, প্রাথমিকভাবে এতটুকুই যদি করা যায়, তবে এর থেকে এক সময় মুসলমানরা একটা সময় বড় সাফল্য পেতে পারে বলে মনে হয়।