অনেকেই বলে, যত ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সেতু, রাস্তা হবে, তত তো দেশের জন্য ভালো। এগুলো যত হবে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বরং আরো বেশি সম্প্রসারিত হবে। আপনি এগুলোর বিরুদ্ধে বলেন কেন ?
যারা এ ধরনের কথা বলে, তারা আসলে একটা হিসেবে ভুল করে। তারা প্রথমেই যেটা ভুলে যায়-
এইসব ফ্লাইওভার মেট্রোরেলের খরচ কার পকেট থেকে আসবে ?
এইসব ফ্লাইওভার মেট্রোরেলের খরচ কার পকেট থেকে আসবে ?
যদি বলেন, সরকার দিবে ।
তাহলে কথা হলো- সরকার এই খরচ পাবে কোথা থেকে ?
মূলত সরকারের যত ইনকাম সোর্স আছে, সেখান থেকেই টাকা তুলবে।
অর্থাৎ তেল, গ্যাস বিদ্যুৎ, ট্যাক্স, ভ্যাট, ফি, মাসুল, জরিমানা ইত্যাদির পরিমাণ বৃদ্ধি করে সেই টাকা তোলার চেষ্টা করবে সরকার। ফলাফলস্বরূপ প্রথম যে প্রভাবটা পড়বে, দেশের যত উৎপাদন/শিল্প খাত আছে, সবগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। আর যত উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, তত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এতে দেশের ভেতর-বাহির দুই ধরনের প্রভাব পড়বে-
১) দেশের ভেতরে সবার জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাবে।
২) দেশের বাইরে আমরা যে পণ্য রফতানি করি তার মার্কেট হারাতে হবে। কারণ পণ্যের দাম বাড়লে বাইরের মার্কেট ধরে রাখা কঠিন হবে। আমাদের প্রতিযোগী দেশ কমমূল্যের পণ্য দেখিয়ে আমাদের মার্কেট দখল করবে।
তাহলে কথা হলো- সরকার এই খরচ পাবে কোথা থেকে ?
মূলত সরকারের যত ইনকাম সোর্স আছে, সেখান থেকেই টাকা তুলবে।
অর্থাৎ তেল, গ্যাস বিদ্যুৎ, ট্যাক্স, ভ্যাট, ফি, মাসুল, জরিমানা ইত্যাদির পরিমাণ বৃদ্ধি করে সেই টাকা তোলার চেষ্টা করবে সরকার। ফলাফলস্বরূপ প্রথম যে প্রভাবটা পড়বে, দেশের যত উৎপাদন/শিল্প খাত আছে, সবগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। আর যত উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, তত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এতে দেশের ভেতর-বাহির দুই ধরনের প্রভাব পড়বে-
১) দেশের ভেতরে সবার জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাবে।
২) দেশের বাইরে আমরা যে পণ্য রফতানি করি তার মার্কেট হারাতে হবে। কারণ পণ্যের দাম বাড়লে বাইরের মার্কেট ধরে রাখা কঠিন হবে। আমাদের প্রতিযোগী দেশ কমমূল্যের পণ্য দেখিয়ে আমাদের মার্কেট দখল করবে।
বর্তমানে হঠাৎ গার্মেন্টস শিল্পে যে হঠাৎ ধস নেমেছে, আমরা বহির্বিশ্বে মার্কেট হারাচ্ছি, তা ঠিক কি কারণে হচ্ছে, তা নিয়ে কিন্তু কেউ আলোচনা করছে না। মূল কারণ- আমাদের উৎপাদন খরচ গত ৫ বছরে ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং এর পেছনে মূল কারণ সরকারি বিভিন্ন ফি, জ্বালানি খরচ, ট্যারিফ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শ্রমিকদের সংসারের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আন্দোলন করে মজুরীও বাড়িয়েছে। আর এতে গার্মেন্টস পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বাইরের মার্কেট হারিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য গার্মেন্টস কারখানা। বেকার হচ্ছে অসংখ্য শ্রমিক। মাছরাঙ্গা টিভি রিপোর্টটির মধ্যে সেই সত্যটি ফুটে উঠেছে।
এখন সরকার যতই মুখে বলুক- তারা বহির্বিশ্বে গার্মেন্টস শিল্প পূনরায় আগের অবস্থায় আনার জন্য কাজ করছে। কিন্তু বাস্তবে আসল যায়গায় সরকার নিজেই বাধা সৃষ্টি করেছে, মানে নিজেই কায়দা করে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করেছে এবং আরো করবে বলে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এবং তার মূল কারণ সরকারের টাকার দরকার এইসব ফ্লাইওভার-রাস্তা-মেট্রোরেল আর সেতু বানানোর জন্য।
আর একেই বলে কর্পোরেটোক্রেসি-যেখানে জনগণের টাকা দিয়ে ভীনদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য দেশ সাজানো হয়। কিন্তু সেই অতিরিক্ত খরচের কারণে দেশের উৎপাদনশীল খাত বা ব্যবসা-বাণিজ্যের পতন ঘটে। বেকার হয়ে পড়ে অসংখ্য শ্রমিক। পরবর্তীতে সাজানো গোছানো সেই দেশে ভীনদেশী ব্যবসায়ী এসে স্বল্পমূল্যে শ্রমিক পায়। যদি দেশের উৎপাদনশীল খাতগুলো টিকেই থাকে, তবে বিদেশী ব্যবসায়ীরা এসে স্বল্পমূল্যে শ্রমিক পাবে কিভাবে, যেখানে ধানকাটার শ্রমিক পেতেই কষ্ট হয়ে যায়। সঙ্গতকারণেই সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেটদের এ ভিন্ন পলিসিতে আগমন।