-হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বানানো। এন.সি-১৩

-হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বানানো,
-১৮/২১ বছরের আগে বিয়ে আটকে রাখা,
-২টি সন্তান নেয়া, ১টি হলে ভালো হয় বলে প্রচার করা,
-লিভ-টুগেদারকে প্রমোট করা,
-নারী সার্ফিং প্রমোট করা,
-নারীকে পুরুষের সাথে একত্রে কর্মক্ষেত্রে নামিয়ে দেয়া,
-মেয়েকে বাবার কাছে, মাকে পুত্রের কাছে মাসিকের কথা বলার অভ্যাস করা,
-পোষাকের সাথে সমাজের অস্থিতিশীলতার তৈরীর কথাকে মিথ্যা দাবী করা,
-ছোট বাচ্চাদের স্কুলে সেক্স কার্যকলার সম্পর্কে ট্রেনিং/শিক্ষা দেয়া,
-সমকামীতা প্রমোট করা,
-মানুষকে কুকুর বানিয়ে রাস্তায় ঘুড়ানো
-ভাই তার আপন বোনকে সেক্সি বলে স্ট্যাটাস দেয়া (সম্প্রতি হুমায়ুন অজাতের ছেলে করছে),
এগুলো সব এক জিনিস, তাদের ভাষায়- সমাজের প্রথাভাঙ্গা।
অর্থাৎ দীর্ঘদিন সমাজে যে প্রথা-নিয়ম-কানুন আছে, এগুলো তারা ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে চায়।
তাদের দাবী, সমাজে একটা শ্রেণী তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই প্রথাগুলো চালু করেছে,
এগুলো ভেঙ্গে দিলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে, এবং ঐ বিশেষ শ্রেণীর স্বার্থ হারাবে।
যদিও এই ব্যাখ্যা ভুল। সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলা, এই নিয়ম প্রথাগুলো অনেক যাচাই বাছাই করে,
সবার একমত ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিকে তা গ্রহণ করা হয়েছে,
এবং অনেকগুলো আইন হিসেবে রূপান্তর হয়েছে,
আইনের সবচেয়ে বড় উৎস হলো, সামাজে দীর্ঘদিন ধরে চলা নিয়ম প্রথা,
দেখা যাবে, ১০০টা বিষয় মাথায় রেখে এই নিয়ম প্রথাগুলো সমাজে তৈরী হয়েছে,
কিন্তু যে ১০০টি বিষয় মাথায় রেখে, নিয়ম প্রথাগুলো তৈরী হয়েছে,
সেগুলো হয়ত লিখিত নেই, তাই অনেক বছর পর সেই সুযোগটি নিচ্ছে, এই বিশেষ কমিউনিটি।
তারা নতুন প্রজন্মের না-জানার সুযোগ নিয়ে তারা নতুন নিয়ম-প্রথাগুলো চাপিয়ে দিচ্ছে,
বলছে- এগুলো পুরাতন নিয়ম, এগুলো ভেঙ্গে নতুন গুলো গ্রহণ করে।
কিন্তু পুরাতনরা কেন এগুলো মানেনি, কেন তারা প্রথা-নিয়মগুলো তৈরী করেছিলো,
সেটা কিন্তু এক কথায় এড়িয়ে যায়।
কথা হলো- নতুন নিয়মগুলো যখন চালু করবো, তখন সমাজে কি হবে ?
পুরাতন নিয়ম ভাঙ্গলে কি কি সমস্যা তৈরী হতে পারে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন কি ?
নতুন নিয়মের কি সাইড ইফেক্ট আছে ?
যদি থাকে, তবে সেগুলো কি ?? আমরা কি সেই সাইড ইফেক্টগুলো সামাল দেয়ার জন্য প্রস্তুত ??
আসলে সমাজে প্রথাভাঙ্গাকে একটা বিশেষ শ্রেণী যতই মানবিক ও নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করুন,
আসলে এটা একটি শ্রেণী তাদের স্বার্থ উদ্ধারেই প্রমোট করছে।
তাদের ভাষায় এটা হলো- কাউন্টার কালচার।
হাঙ্গেরীয়ান-মার্কিন সম্রাজ্যাবাদী ইহুদী জর্জ সরোস বর্তমানে এই কাউন্টার কালচারের পেছনে আছে।
সে তার ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কাউন্টার কালচার প্রমোট করতে ৩২ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে।
তাদের কথা হলো- সমাজে যত নিয়ম কানুন দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত- সবগুলো ভেঙ্গে দাও।
কিন্তু এই ভেঙ্গে দেয়ার পেছনে বাস্তবে সমাজের জনগোষ্ঠীর কোন উপকার নেই, উপকার আছে, জর্জ সরোসের মত ইহুদীদের সম্রাজ্যাবাদ বিস্তারে।