‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ নামে একটা নাটকে শেখাচ্ছে, বিয়ের আগে ছেলে-মেয়েকে একত্রে হোটেলে থাকতে হবে। যদি থাকার পর ভালো লাগে, তখন তারা বিয়ে করবে, আর যদি ভালো না লাগে তবে বিয়ে করবে না।
এতদিন ছেলে-মেয়ের প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে এ যুক্তিটা অনেকে দিতো- “বিয়ের আগে স্বামী স্ত্রী যদি পরষ্পরকে নাই চিনে, তবে বিয়ে করবে কিভাবে? এই চিনতেই তো প্রেম-ভালোবাসা।” কিন্তু এই নাটকটা অ্যারেঞ্জ মেরেজের ক্ষেত্রে দেখাচ্ছে। বাবা-মা বিয়ে ঠিক করেছে, কিন্তু ছেলে মেয়ে একত্রে একটা রিসোর্টে ৭ দিন থাকতে যায়। দুই পরিবারের বাবা-মা বিষয়টি জানবে এবং তাদের সম্মতিতেই ছেলে-মেয়েরা কাজটি করছে। যদিও নাটকে শারীরিক সম্পর্কে বিষয়টি দেখায়নি, কিন্তু ইঙ্গিতটা সেদিকেই ছিলো। কারণ মন বুঝতে গেলে আলাদা হোটেল-রিসোর্টে যেতে হয় না। বাসায় থেকেও করা যায়।
পশ্চিমা অপসংস্কৃতিতে আমরা যেটা দেখতে পাই, ছেলে মেয়ে বিয়ে হচ্ছে, কিন্তু সন্তান বড় হয়ে গেছে। এতদিন লিভ টুগেদার করে বুঝতে পেরেছে দুইজন দুইজনের জন্য ঠিক আছে। তারপর ইচ্ছা হলে বিয়ে করে, না হলে করে না। বাংলাদেশে পশ্চিমা কালচার আমদানিকারকরা প্রায়ই তাদের লেখনি-বক্তব্যে বিষয়টি প্রকাশ করে, “একজন ছেলে-মেয়ে যদি জানতে নাই পারে, তার যার সাথে বিয়ে হচ্ছে তার সেক্সুয়াল পাওয়ার কেমন, তবে সে বিয়ে করে স্থায়ী হবে কিভাবে ?”
আমার মনে হয়, যারা বাংলাদেশে সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে এসব নিকৃষ্ট পশ্চিমা থিউরী ছড়াতে নাটক বানাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত।