বাংলাদেশের সংবিধানিক নাম হলো- People's Republic of Bangladesh অর্থাৎ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
এ সিস্টেমে রাষ্ট্রের মালিক হলো জনগণ, আর জনগণ ৫ বছরের জন্য ‘সরকার’কে নিয়োগ দেয় ঐ রাষ্ট্র দেখাশোনার জন্য।
এ সিস্টেমে রাষ্ট্রের মালিক হলো জনগণ, আর জনগণ ৫ বছরের জন্য ‘সরকার’কে নিয়োগ দেয় ঐ রাষ্ট্র দেখাশোনার জন্য।
অনেককে বলতে দেখি- সরকারী যায়গায় মসজিদ কেন ?
তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই- সরকারী যায়গা বলে বাংলাদেশে কোন যায়গা নাই।
সরকার হলো চৌকিদারের মত, তাদের একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জনগণের সম্পদ দেখাশোনার জন্য, আর চৌকিদারকে নিশ্চয়ই কেউ মালিকানা দেয় না।
সংবিধান মতে বাংলাদেশে যদি কোন খাস জমি থাকে তবে সেটার মালিকানা জনগণেরই হবে।
তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই- সরকারী যায়গা বলে বাংলাদেশে কোন যায়গা নাই।
সরকার হলো চৌকিদারের মত, তাদের একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জনগণের সম্পদ দেখাশোনার জন্য, আর চৌকিদারকে নিশ্চয়ই কেউ মালিকানা দেয় না।
সংবিধান মতে বাংলাদেশে যদি কোন খাস জমি থাকে তবে সেটার মালিকানা জনগণেরই হবে।
এখন জনগণ যদি জনস্বার্থে জনগণের যায়গায় কোন মসজিদ বানায় তবে সেটা ধর্মমতে অবৈধ হওয়ার কোন কারণ নেই। বরং শতভাগ বৈধ। আর সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ইসলাম অনুসারেই মসজিদ একবার হয়ে গেলে সেটা সেখান থেকে সরানো যায় না কিংবা মসজিদের উন্নয়ন ব্যতিত ভিন্ন কোন কারণে ভাঙ্গা যায় না। (তবে ব্যক্তি মালিকানার জমি অনুমতি ছাড়া মসজিদ বানানো বৈধ নয়)
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, সরকার ইফা’র দ্বারা এমন একটি ‘ভুল ফতওয়া’ তৈরী করে মসজিদে মসজিদে প্রচার করছে- সরকারী যায়গায় মসজিদ করা অবৈধ এবং সেটা ভেঙ্গে ফেলা বা সরিয়ে ফেলা বৈধ।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, সরকার ইফা’র দ্বারা এমন একটি ‘ভুল ফতওয়া’ তৈরী করে মসজিদে মসজিদে প্রচার করছে- সরকারী যায়গায় মসজিদ করা অবৈধ এবং সেটা ভেঙ্গে ফেলা বা সরিয়ে ফেলা বৈধ।
এই ‘ভুল ফতওয়া’ প্রচার করে বাংলাদেশে শত শত জনগণের মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং সেই শত শত মসজিদের অজুহাতে আরো হাজার হাজার ব্যক্তি মালিকানা থেকে ওয়াকফকৃত মসজিদকেও সেই একই ট্যাগ দিয়ে ভাঙ্গার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়- এ বিষয়গুলো জানা থাকলেও বাংলাদেশে হাজার হাজার আলেম-ওলামা, ওয়ায়েজ ও ইসলামী দল এখনও চুপ করে আছে, তারা বিশেষ কোন কারণে কথা বলছে না।